সান নিউজ ডেস্ক : সুইসাইড নোট লিখে একই সাথে দুই বান্ধবী আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার ( ৫ এপ্রিল ) রাতে দু’জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের শিলিগুড়িতে। হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ১২ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুই বান্ধবীর সম্পর্কটা এতটাই নিবিড় ছিল যে, একে অন্যের থেকে আলাদা হওয়ার কথা ভাবতেই পারেনি ৷ একজনের বিয়ে ঠিক হওয়ার খবর মেনে নিতে পারেনি আরেকজন। তাই বেছে নিয়েছেন আত্মহননের পথ।
জানা যায়, চলতি মাসেই দীপ্তি রায়ের বিয়ে ঠিক হয়। পরিবার থেকে সেই মতো আয়োজন চলছিল। বিয়েতে কোনো রকম আপত্তিও প্রকাশ করেননি দীপ্তি। কিন্তু হঠাৎই এমন ঘটনা ঘটবে তা কল্পনাতেও আসেনি। এক কথায় হতভম্ব দুই পরিবার।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, খুব ছোটবেলা থেকেই প্রিয়াংকা রায় ও দীপ্তি রায় ভালো বন্ধু। একই সঙ্গে বেড়ে ওঠা দুজনের। একই সঙ্গে স্কুল। সব ঠিকই চলছিল। এর মধ্যে এক বান্ধবীর বিয়ে ঠিক করে পরিবার। কিন্তু দুজন যে দুজনের থেকে একেবারেই আলাদা হতে চায় না তা কেউই বুঝে উঠতে পারেনি।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, আলাদা হয়ে যেতে হবে দুজনকে। বিচ্ছেদের এ ভাবনা থেকেই এমন ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নেয় দুজনে।
আরও পড়ুন: অবাধ্য ইমরানকে শাস্তি দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
বাড়ি ফাঁকা থাকায় সেখানেই একই ওড়নায় দুজন দুজনের হাত ধরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় তারা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে লেখা ছিলো স্যরি আমাদের আলাদা করবেন না। একসঙ্গে নিয়ে যাবেন, একসঙ্গে রাখবেন, আমাদের সব কাজ একসঙ্গে করবেন।
সুইসাইড নোটে তারা পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে আরও জানিয়েছেন, মা-বাবার স্বপ্নপূরণ করতে পারেনি, কিন্তু দীপ্তি বা প্রিয়াংকা কেউ-ই একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবে না।
দীপ্তির ঠাকুর দাদা রজত রায় জানায়, আশীর্বাদ করতে যাওয়ার দিনও নাতনিকে জিজ্ঞেস করে যাই যে ছেলে পছন্দ কিনা, সে কোনো আপত্তি করেনি, বিয়ের সব আয়োজন শেষ, সন্ধ্যাবেলা শুনতে পারি তারা সুইসাইড করেছে, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
অন্যদিকে প্রিয়াংকার মা বলেন, সবসময় দুজনে একসঙ্গে থাকত, ছোটবেলার থেকে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনা, ঘোরাফেরা। সকালে কাজে বের হওয়ার সময়ও কিছু বুঝতে পারিনি। বাড়ি ফাঁকা ছিল। ওরা যে এ রকম করবে তা বুঝতে পারিনি কখনও।
সাননিউজ/এমআরএস