আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গুটাবায়ে রাজাপাকসে জাতীয় ঐক্যর ভিত্তিতে সরকার গঠনের আহ্বান জানালেন।
আরও পড়ুন : পানির অপচয়রোধ ও যত্ন নেওয়ার পরামর্শ
দেশটির সব মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এর আগে প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
সোমবার (৪ এপ্রিল) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়, দর পতন হওয়ায় দেশটির শেয়ারবাজারের কার্যক্রমও রয়েছে বন্ধ।
প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, জাতীয় প্রয়োজনেই ঐক্যের সরকার প্রয়োজন। সময় এসেছে দেশের সব নাগরিক ও ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য এক হয়ে কাজ করার।
আরও পড়ুন : প্রাথমিকে ছুটি বাড়ছে না
এতে বলা হয়, চলমান জাতীয় সংকট মোকাবিলায় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা সব রাজনৈতিক দলকে একত্রে কাজ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় পদত্যাগ করেছেন শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অজিথ নিভার্ড ক্যাবরাল। ক্যাবরাল এক টুইট বার্তায় জানান, পদত্যাগ পত্র এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন কি না সে ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কায় সব মন্ত্রীর পদত্যাগ
প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ছাড়া মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্য তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। রোববার (৩ এপ্রিল) দেশটির শিক্ষামন্ত্রী দিনেশ গুণবর্ধন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নিজের ছেলে নামাল রাজাপাকসে।
এক টুইট বার্তায় তিনি দাবি করে বলেন দেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সিদ্ধান্ত নিতে প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য করবে এ পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন : কাঁচা মরিচের ঝাল বেড়েই চলছে!
প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের সরকার।
চলছে ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভের শঙ্কায় সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় শুরু হওয়া কারফিউ চলবে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
সান নিউজ/এইচএন