আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটির অর্থনীতি কখনও এমন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে পার করে নি।
আরও পড়ুন : ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন
দীর্ঘ সাড়ে ৩ দশকের গৃহযুদ্ধের সময় সামরিক খাতে ব্যয় দেশটির অর্থনীতিকে চাপে ফেলেছিল। করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটন শিল্প প্রায় স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে রফতানি আয়ে।
পাশাপাশি, ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি তলানিতে ঠেকায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে তৈরি হয়ে অব্যবস্থাপনা।
গত কয়েকদিন ধরেই অনিয়মিত হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা সরকার ঘোষণা করেছে, বুধবার (৩০ মার্চ) থেকে রাজধানী কলম্বো-সহ গোটা দেশে দিনে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ রাতের কলম্বোয় ভরসা এখন মোমবাতি।
আরও পড়ুন : ইমরান খানের পতন কেবল আনুষ্ঠানিকতা?
এই পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের মাঝেও বাড়ছে আতঙ্ক। দেশ জুড়ে খাবার এবং অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র মজুত করার প্রবণতা বাড়ায় তৈরি হয়েছে সঙ্কট।
দোকান এবং পেট্রোল পাম্পগুলিতে পড়ছে দীর্ঘ লাইন। সরবরাহ বাড়ন্ত হওয়ায় ছোটখাটো অশান্তির ঘটনাও ঘটছে।
এই পরিস্থিতিতে পেট্রোল পাম্পগুলিতে নজরদারির জন্য সেনা নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষে।
আরও পড়ুন : সর্বশেষ আলোচনা 'ফলপ্রসূ' হয়নি
এ বছরের শুরু থেকে দেশটির মানুষ ৯২ শতাংশ বেশি দাম দিয়ে পেট্রল ও ৭৬ শতাংশ বেশি দামে ডিজেল কিনেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এফপি।
কলম্বো সরকার ডলার না থাকায় কাগজ এবং কালি আমদানি করতে পারছে না। ফলে দেশ জুড়ে স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের সব পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সান নিউজে/এইচএন