সান নিউজ ডেস্ক: পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের অবরুদ্ধ মারিউপোল শহরে রাশিয়ার হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশ ভ্যাকসিন কার্যক্রমে সফল
দক্ষিণাঞ্চলীয় ওই শহরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে রাশিয়া ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করতে থাকায় এসব মরদেহ সরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা তেতিয়ানা লোমাকিনা এখন মানবিক করিডোরের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, শহরের এই ধ্বংসযজ্ঞ পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে হয়তো ১০ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, রাশিয়া ক্রমাগত গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাওয়ায় ১০ দিন ধরে কোনো মরদেহ সরিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ইউক্রেনের একটি প্রতিনিধি দল তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে পৌঁছেছে। সেখানে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসবেন তারা। এর আগেও দুদেশের মধ্যে কয়েক দফা শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকোভ এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের প্রধান মিখাইল পোডোলিয়াক।
প্রতিনিধিরা বলছেন, তাদের শান্তি আলোচনার প্রধান লক্ষ্য যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা। যদিও এমনটা ঘটবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েই যাচ্ছে।
এর আগে রুশ সাংবাদিকদেরকে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় রাশিয়া ভয় গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সিএনএননের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাবিদরা ভিসি হতে চান না
সম্প্রতি রুশ সাংবাদিকদেরকে এক সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেটি রাশিয়ায় ইতোমধ্যে প্রচারও হয়েছে। তবে সেই সাক্ষাৎকার পুনঃপ্রচারে সেন্সরশিপ তথা নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করছে- এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় রোববার (২৭ মার্চ) নিজের সর্বশেষ ভিডিও বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন জেলেনস্কি।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে