সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন দাবি করছে, দেশটিতে রাশিয়ার নৌবাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় ৬ জনের লাশ উদ্ধার
ফেসবুকে এক পোস্টে ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ জানিয়েছে, ক্যাপ্টেন ফার্স্ট র্যাঙ্ক অ্যান্ড্রিউ প্যালি ইউক্রেনে লড়াই চলাকালীন নিহত হয়েছেন। তবে পুরো বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। মস্কোর পক্ষ থেকেও তার মৃত্যুর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
কৃষ্ণ সাগরে ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন প্যালি। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনে নিহত রাশিয়ার প্রথম নৌ কর্মকর্তা তিনি। তবে এর আগেও রাশিয়ার বেশ কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
এদিকে শনিবার (১৯মার্চ ) ইউক্রেনের একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মারিউপুল শহরের কাউন্সিল জানিয়েছে, রুশ বাহিনী শনিবার একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে। ওই স্কুলে প্রায় ৪শ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্কুল ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং লোকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, নারী, শিশু এবং বয়স্ক লোকজন ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু তারা হামলার শিকার হয়েছেন।
এছাড়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহরে গোলাবর্ষণে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বাণিজ্যিক এলাকার কাছে একটি বহুতল ভবন হামলার শিকার হয়েছে।
ফেসবুকের পোস্টে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ৯ বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করা হয়েছে। হামলার সময় ওই ভবনে আগুন ধরে যায়।
ভবনের বিভিন্ন স্থান থেকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত শুধু রাজধানী কিয়েভেই চার শিশুসহ ২২৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ মার্চ) কিয়েভ নগর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করে।
এক বিবৃতিতে কিয়েভ প্রশাসন জানিয়েছে, হামলায় আহত হয়েছেন ৯১২ জন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। ইউক্রেন-রাশিয়ার লড়াই গড়িয়েছে ২৫তম দিনে।
আরও পড়ুন: কমলো সয়াবিন তেলের দাম
বেসামরিক লোক হতাহতের পাশপাশি ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রায় ২৭ লাখ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিলেও থামতে নারাজ পুতিন সরকার। হামলা বন্ধে সোচ্চার বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো। তবে শর্ত না মানা পর্যন্ত রুশ সরকার হামলা অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি পোল্যান্ডে থাকার কারণে রুশ হামলার শঙ্কা বেড়েছে। দেশটির জনগণ মনে করছে যে মস্কোর পরবর্তী টার্গেট হতে পারে তারা।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে