আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে চলমান রুশ সামরিক অভিযানে মস্কোকে যদি সমরাস্ত্র কিংবা আর্থিক সহায়তা প্রদান করে চীন, সেক্ষেত্রে বেইজিংকে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বৈরী পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হবে বলে সতর্ক করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন:সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আর নেই
শুক্রবার ( ১৮ মার্চ) চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ভিডিও কল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রায় দু’ঘণ্টা আলোচনা হয় দুই দেশের রাষ্ট্রপতির মধ্যে। এ সময়েই বাইডেন এই হুঁশিয়ারি দেন।
জিনপিং বলেন, ইউক্রেন সংকট হলো এমন একটি ঘটনা যা আমরা দেখতে চাই না। পাশাপাশি চীনের রাষ্ট্রপতি যোগ করেন— আমেরিকার অনুরোধেই এই ফোন কলে উপস্থিত হয়েছেন তিনি।
রুশ-ইউক্রেনের সংকট সমাধানে মস্কোর সঙ্গে ন্যাটোর বৈঠক করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশি জাহাজে হামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি
মার্কিন শঙ্কা, চলমান সামরিক অভিযানে রাশিয়াকে অর্থ ও সমরাস্ত্র সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে বেইজিং। এই শঙ্কা সূত্রপাত বৃটিশ ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও মার্কিন নিউইয়র্ক টাইমসে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন:এশিয়ার সেরা বাংলাদেশ
এদিকে গত ১৩ মার্চ এই দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্কো চাইছে ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানে চীন যেন রাশিয়াকে সমরাস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে।
আরও পড়ুন:সাহাবুদ্দীনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ১৪ মার্চ বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান চীনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বেইজিং মস্কোকে অর্থনৈতিক বা অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছে কি না সেটি ওয়াশিংটন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং তেমন কিছু ঘটলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই অভিযোগের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিয়্যু পেংগ্যিউ বলেছিলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো আহ্বান কিংবা অনুরোধ এখন পর্যন্ত আসেনি এবং মার্কিন এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
২০০৮ সাল থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ওই বছরই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিল ইউক্রেন।
সম্প্রতি ন্যাটো দেশটিকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও সহযোগী সদস্য হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বাড়ে এই দ্বন্দ্ব।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজডুবিতে নিখোঁজ ৪
ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনকে চাপে রাখতে গত দুই মাস রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিল মস্কো।
আরও পড়ুন:রুখে দাঁড়াতে হবে
কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে আসেনি। উপরন্তু এই দু’মাসের প্রায় প্রতিদিনই মার্কিন ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে গেছে— যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী।
আরও পড়ুন:আমরা জানি আমাদের কী করা প্রয়োজন
অবশেষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দু’দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আরও পড়ুন:হবিগঞ্জে ট্রাকচাপায় নিহত ৩
প্রসঙ্গত, শনিবার ২৪তম দিনে পৌঁছেছে এই মস্কো পরিচালিত কিয়েভে সামরিক অভিযান।
সান নিউজ/এইচএন