সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনকে বিপুল অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার ( ১৭ মার্চ ) সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খারকিভে ৫০০ বেসামরিক লোক নিহত
হোয়াইজ হাউজের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউক্রেনকে ৮০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় থাকবে ৮০০ স্টিঙ্গার বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র, ১০০ ড্রোন, দুই কোটি রাউন্ডেরও বেশি ছোট অস্ত্রের গুলি, গ্রেনেড লাঞ্চার, মর্টারের গুলি, ২৫ হাজার সেট বডিআর্মার, ২৫ হাজার হেলমেট, ১০০ গ্রেনেড লাঞ্চার, পাঁচ হাজার রাইফেল, এক হাজার পিস্তল, ৪০০ মেশিন গান, ৪০০ শটগান, দুই হাজার জাভেলিন, এক হাজার হালকা অ্যান্টি আর্মার অস্ত্র এবং ছয় হাজার এটি-ফোর অ্যান্টি আর্মার ব্যবস্থা।
ইউক্রেনকে যে ড্রোনগুলো সরবরাহ করা হবে তার মধ্যে সুইচব্লেড মডেলের ড্রোনও রয়েছে বলে বিষয়টির সাথে পরিচিত দুটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে। ছোট আকারের এই ড্রোনগুলো ওয়ারহেড বহন করে এবং আঘাতে বিস্ফোরণ ঘটায়। ড্রোন তৈরিকারী সংস্থা অ্যারোভাইরনমেন্টের মতে সবচেয়ে ছোট মডেলটি ছয় মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে।
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, আমি আপনার সঙ্গে সৎ থাকতে চাই। এটি একটি দীর্ঘ এবং কঠিন যুদ্ধ হতে পারে। তবে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর পুতিনের অনৈতিক হামলার কারণে ইউক্রেনের জনগণের প্রতি আমাদের সমর্থন অটল থাকবে।
আরও পড়ুন: বাঙালিদের হাতে বাবাকে জীবন দিতে হয়েছে
এদিকে, পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার যুৃদ্ধে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছে। তবে রাশিয়া বলছে, তাদের মাত্র ৪৯৮ সেনা নিহত হয়েছে।
এর আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বুধবার (১৬ মার্চ) এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানে এ পর্যন্ত দেশটিতে ৬৩৬ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েন। নিহতের তালিকায় ৯০ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া আরও শতাধিক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। হামলার মুখে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়ি ছেড়েছে পালিয়েছেন প্রায় ২৮ লাখ ইউক্রেনীয়। তারা পাশের দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন।
সান নিউজ/এনকে