ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সংঘাতকে কেন্দ্র করে ক্রমশ যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সেনা পাঠানোর ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের দাদাগিরির কারণেই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমানো হচ্ছে।
ভারতীয় মিডিয়া জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখে ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বললেও, আমেরিকা চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জার্মানিতে সেনা সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে কেন? এর জবাবে, পম্পেও বলেন, মার্কিন সেনা বেশিদিন এখানে থাকবে না। তাদের অন্যত্র সরানো হচ্ছে। লক্ষ্য যে চীন, তা স্পষ্ট করে দেন পম্পেও।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনাও করেন। বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ শুধু ভারতের জন্য হুমকি নয়। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিনও চীনের হুমকির মুখে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তত্পরতা নিয়েও ক্ষুব্ধ আমেরিকা।
পম্পেও বলেন, 'আমাদের সময়ের এই চ্যালেঞ্জ'- এর মোকাবিলা করতেই মার্কিন সেনাদের জার্মানি থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে।
চীনা হুমকির কথা বলতে গিয়ে, পম্পেও ভারতের সঙ্গে চীনের রক্তাক্ত সীমান্ত সংঘাত, বেইজিংয়ের দক্ষিণ চীন সমুদ্র কার্যকলাপ, চীনের অর্থনৈতিক নীতি প্রমাণ হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির হুমকির কথা বলেছি-ভারতের পক্ষে হুমকি, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার জন্য হুমকি। ফিলিপিনের জন্যও হুমকি। আমরা পিএলএ'র (চীনের পিপল'স লিবারেশন আর্মি) মোকাবিলার জন্য যথাযথভাবে মার্কিন সেনা নিয়োগ করব। আমরা মনে করি, এটা আমাদের সময়ের চ্যালেঞ্জ।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যায় চীনের সঙ্গে সংঘাতে এক অফিসারসহ ২০ ভারতীয় জওয়ান নিহত ও ৭০ জনেরও বেশি জওয়ান আহত হয়। এই সংঘাতকে কেন্দ্র করে দু-দেশের সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মধ্যেই ব্যাপক যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ভারতীয় ভূখণ্ডের কিছু অংশ দখল করে, সেখানে পাকা পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে চীন।
সান নিউজ/ আরএইচ