ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটির পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ‘শহীদ’ বলে উল্লেখ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাকিস্তানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেছেন বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ২ হাজার ৭৫৩ জন। ঘটনার পরপরই সন্দেহের তীর আল কায়েদার ওপর গিয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে নির্মম হামলাগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয় অস্বীকার করলেও ২০০৪ সালে হামলার দায় স্বীকার করে নেন আল কায়দা প্রধান ওসামা। পরে ২০১১ সালে মার্কিন সিল টিমের অভিযানে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে নিহত হন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ইমরান খান বলেন, ওয়াশিংটনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগিতা করার পরও অনেক অপমানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতার জন্য দায়ী করা হয়।
পাকিস্তানের জন্য ‘বিব্রতকর’ পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে এমন ঘটনা তুলে ধরার সময় বলেন, আমেরিকানরা অ্যাবোটাবাদে এসে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে, তাকে শহীদ করেছিল। এরপর কী ঘটলো? পুরো বিশ্ব আমাদের অভিশাপ দিলো এবং পাকিস্তানকে নিয়ে খারাপ কথা বলা শুরু করলো।
ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ সম্বোধন করে পাকিস্তানের বিরোধী রাজনীতিকদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইমরান খান। তবে তার রাজনৈতিক যোগাযোগের বিশেষ সহকারী ড. শাহবাজ গিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন দেশে ও বিদেশে এই ভাষণ নিয়ে অযথাই বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।
এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেছিলেন, যেভাবে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে তাতে অনেক জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে তিনি শহীদ হয়ে উঠেছেন। ইমরান আরও বলেন, ওয়াশিংটনের উচিত ছিল বন্দি করা এবং বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে পুরো বিষয়টিকে স্পষ্ট করা।
তিনি আরও যোগ করেন, ইরাকের সাদ্দাম হোসেন ও নাৎসি নেতাদের অপরাধের জন্য তাদের যেমন বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল ওসামার ক্ষেত্রেও একই রকম হওয়া উচিত ছিল।