সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের বন্দর শহর মারিউপোলের একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী।
আরও পড়ুন: টিকাকরণে ২০০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় জানায়, রুশ সামরিক বাহিনী মারিউপোলের সুলতান সুলেমান ও তার স্ত্রী রোক্সোলানার (হুররেম সুলতান) মসজিদে গোলাবর্ষণ করেছে। গোলাবর্ষণ থেকে বাঁচতে তুরস্কের নাগরিকসহ ৮০ জনের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।
তুরস্কে অবস্থিত ইউক্রেনের দূতাবাস জানায় আশ্রয় নেওয়াদের মধ্যে ৩৪ শিশুসহ ৮৬ জন তার্কিশ নাগরিক রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া য়ায়নি।
ইউক্রেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৭১ শিশু নিহত হয়েছে ও শতাধিক আহত হয়েছে। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় প্রেসিডন্টে ভ্লাদিমির পুতিন।
এরই মধ্যে ২৫ লাখের বেশি নাগরিক ইউক্রেন ছেড়েছে। তাদের মধ্যে এক লাখ ১৬ হাজার বিদেশি অর্থাৎ অন্যান্য দেশের নাগরিক রয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসী সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সংস্থাটি এক টুইট বার্তায় জানায়, জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন এমন মানুষের সংখ্যা ঘণ্টার মধ্যেই বেড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় এক আলাদা বার্তায় জানায়, এ ঘটনার পর ইউক্রেনে ১৮ লাখের বেশি নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এদিকে, শুক্রবার (১১ মার্চ) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি রুশ মায়েদের প্রতি তাদের সন্তানদের ইউক্রেনে যুদ্ধে না পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান বন্ধ করতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিষ্ফল আলোচনার পর দেশটিতে হামলা জোরদার করেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে ঘিরে ফেলেছে সেনারা। প্রতিনিয়ত ট্যাংক ও কামানে গোলাবর্ষণ করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী।
যুদ্ধের সর্বশেষ চিত্র নিয়ে শনিবার (১২ মার্চ) সিএনএন, বিবিসি এবং রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সন্তানদের যুদ্ধে পাঠাবেন না
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে