সান নিউজ ডেস্ক : শুক্রবার (১১ মার্চ) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি রুশ মায়েদের প্রতি তাদের সন্তানদের ইউক্রেনে যুদ্ধে না পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন সাকিব
এক আবেগপ্রবণ ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি রাশিয়ার মায়েদের আরও একবার বলতে চাই বিশেষ করে চাকরিজীবী মায়েদের বলতে চাই আপনাদের সন্তানদের অন্য দেশে যুদ্ধের জন্য পাঠাবেন না।
রুশ সরকার অনুশীলনের জন্য তাদের দেশের সেনা বা নাগরিকদের যুদ্ধে পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। জেলেনস্কি রুশ সরকারের প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে জেলেনস্কির সঙ্গে শুক্রবার (১১ মার্চ) টেলিফোনে দীর্ঘসময় কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাক্কা ৪৯ মিনিটের ওই কথপোকথনে তিনি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে বোঝাতে চেষ্টা করেছেন, রাশিয়াকে সাজা দিতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন-জেলেনস্কি এর আগে যতবার ফোনে কথা বলেছেন, সেগুলোর স্থায়িত্ব ছিল বড়জোর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। কিন্তু শুক্রবারই তারা সবচেয়ে বেশি সময় কথা বলেছেন।
এসময় বাইডেন জেলনস্কিকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন আক্রমণের কারণে ক্রেমলিনকে সাজা দিতে রাশিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্কও স্থগিত করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান বন্ধ করতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিষ্ফল আলোচনার পর দেশটিতে হামলা জোরদার করেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে ঘিরে ফেলেছে সেনারা। প্রতিনিয়ত ট্যাংক ও কামানে গোলাবর্ষণ করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী।
যুদ্ধের সর্বশেষ চিত্র নিয়ে শনিবার সিএনএন, বিবিসি এবং রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন:কিয়েভ ঘিরে ফেলছে রুশ সেনারা
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে