আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন বিমান বাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়ার ১০টি যুদ্ধবিমানে আঘাত হানা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি বড় অস্ত্র-বহর ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তারা।
আরও পড়ুন:আমিরাতের বড় বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
এক বিবৃতিতে দেশটির বিমানবাহিনী বলেছে, এসইউ-২৫ ও এসইউ-৩৪ মডেলের বিমানগুলোতে আঘাত হানা হয়েছে। এর মধ্যে একটি যুদ্ধবিমান স্টিংগার ম্যান-পোর্টেবল ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হেনে ভূপাতিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এর বেশি আর কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
অপরদিকে রুশ সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে কোনো প্রকার মন্তব্য করা হয়নি।
ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে `পরমাণু সন্ত্রাসবাদের' অভিযোগ তুলেছে। রুশ বাহিনী ইউক্রেনের একটি পারমাণবিক গবেষণা স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে দেশটি।
আরও পড়ুন:নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে
কিয়েভের রাষ্ট্রীয় পরমাণু বিষয়ক কর্তৃপক্ষ বলছে—ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহরে অবস্থিত পারমাণবিক গবেষণা স্থাপনায় রুশ হামলা হয়েছে। ফলে সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এবং স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ( ১০ মার্চ ) রাতে মস্কোর বোমা হামলায় স্থাপনাটির বাইরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি।
আরও পড়ুন:দেশে খাদ্য পণ্যের সংকট নেই
তবে, হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আর, রাশিয়ার পক্ষ থেকেও এ হামলার বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রুশ বাহিনী দখলেও নিয়েছিল।
আরও পড়ুন:দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৮ মার্চ হ...
এরও আগে ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক ক্ষেত্র দখলে নেয় রুশ বাহিনী। জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি সংস্থা আইএইএ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে—চেরনোবিলের তেজষ্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের সঙ্গে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য আটক
চেরনোবিল ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে ১৯৮৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন:দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
আরও পড়ুন:ভাসানচরে পৌঁছালো আরও ২৯৮৪ রোহিঙ্গা
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/ এইচএন