আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন-রাশিয়া চলমান যুদ্ধে কিয়েভের ৯৭৪ টি ট্যাংক গুড়িয়ে দিয়েছে মস্কো বলে দাবি জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (৯ মার্চ) রাশিয়া এ দাবি করেছে ।
আরও পড়ুন:পোল্যান্ড সফরে কমলা হ্যারিস
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর বুধবার পর্যন্ত দেশটির ৯৭৪টি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে। যার সংখ্যা মঙ্গলবার ( ৮ মার্চ ) পর্যন্ত ছিল ৮৯৭টি।
রাশিয়ার ৬ হাজার সেনা নিহত হয়েছে বলে ধারণা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া রুশ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মস্কোর সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের ৯৭টি ড্রোনও ভূপাতিত করেছে।
এদিকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে পোল্যান্ডকে যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য আমেরিকার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। যেখানে ছিল পোল্যান্ড সরকারেরও সম্মতি। কিন্তু কিয়েভের সেই আবেদনে এখনও চূড়ান্ত সাড়া দেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন:বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৪৫ কোটি ছাড়াল
অপরদিকে বুধবার ( ৯ মার্চ ) পোল্যান্ড সফরে রওনা হয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি ৩ দিনের এই সফরে রোমানিয়াতে সফরেও যাবেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার এই সফরে জটিলতা কেটে যাওয়ার বার্তা মিলতে পারে।
আরও পড়ুন:রোমানিয়ায় যাচ্ছে হাদিসুরের লাশ
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্র পোল্যান্ডের কাছে রুশ সেনাবাহিনীর হামলা প্রতিরোধে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। প্রাথমিকভাবে তাতে সম্মতি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন।
আরও পড়ুন:বিশ্ববাজারে কমছে জ্বালানি তেলের দাম
শনিবার ( ৫ মার্চ ) এক জুম মিটিংয়ে জেলেনস্কির সাথে কথা বলেন আমেরিকা এবং পোল্যান্ডের প্রতিনিধিরা। পরে প্রেসিডেন্ট জানান, পোল্যান্ড রাজি হয়েছে মিগ-২৯ বিমান পাঠাতে। তারা মার্কিন মতামতের জন্য অপেক্ষা করছে। এর পরেই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে সমর্থন মত এসেছিল।
আরও পড়ুন:বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র এ ব্যাপারে বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে পোল্যান্ডের সাথে। এর ফলে দেশটির যে ক্ষতি হবে, তা পূরণ করে দেওয়া হবে। তবে কী ভাবে ক্ষতি পূরণ করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের ঘাঁটি থেকে বিমান ওড়ানো হলে রাশিয়ার সাথে সঙ্ঘাত বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে সমগ্র ন্যাটো জোটে উদ্বেগ বাড়বে।
আরও পড়ুন:মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৫১
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের একাংশ বলছে, ন্যাটো জোটের কয়েকটি ইউরোপীয় সদস্যরাষ্ট্রের আপত্তিতেই এ ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে বাইডেন সরকার। তাই আসেনি চূড়ান্ত সম্মতি।
আরও পড়ুন:৬ জেলেকে ফেরত দিলো মিয়ানমার
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
আরও পড়ুন:চার হাজার লিটার সয়াবিন জব্দ
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এইচএন