ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির মুসলিমবিরোধী দাঙ্গার সময়ে হেড কনস্টেবল রতন লাল হত্যার ঘটনায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এই অভিযোগপত্র থেকে বাদ পড়েছেন ওই দাঙ্গার অন্যতম উসকানিদাতা বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। তবে এতে নাম এসেছে স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদবের। উত্তরপূর্ব দিল্লির চাঁদ বাগের এক বিক্ষোভে বক্তব্য রাখায় অভিযোগপত্রে তার নাম এসেছে। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এতে তাকে অভিযুক্ত হিসেবে রাখা হয়নি তবে বক্তব্যের কারণে তিনি সম্ভাব্য সহ-ষড়যন্ত্রকারী হতে পারেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ভারতে কার্যকর হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনটিকে (সিএএ) বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে ভারতজুড়ে যখন তীব্র বিক্ষোভ চলছিল, ঠিক সেই সময় রাজধানীতে ওই আইনের সমর্থনে মিছিল বের করে বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন কপিল মিশ্র। মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে কপিল দাবি করেন এটি ‘শান্তি মিছিল।’ ওই মিছিলেই নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাও। পার্লামেন্টে জিততে পারলে রাস্তায় জিততে পারব না?’ এরপরেই দিল্লিতে শুরু হয় হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডব। টানা কয়েক দিনের তাণ্ডবে বহু মুসলিম নাগরিক নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়।
দাঙ্গার সময়ে চাঁদ বাগ থেকে তিন কিলোমিটার দূরে গোকুলপুরিতে সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হয়ে মারা যান দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লাল। দিল্লি পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের সমর্থকেরা সিএএ’র বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভ স্থলে আগুন দিয়েছে শোনার পর উত্তেজিত হয়ে ওঠা একদল সংঘবদ্ধ মানুষের হামলায় খুন হন রতন লাল।
ওই ঘটনায় কপিল মিশ্রকে অভিযুক্ত করা হয়নি। ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএএ সমর্থনে মৌজপুরে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। সেখান থেকে দেওয়া উসকানির পরেই শুরু হয় দিল্লির দাঙ্গা।
অভিযোগপত্রে নাম আসার পর এক ভিডিও বার্তায় স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদব বলেছেন, ‘পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে, কিন্তু কোনও অভিযোগ নেই। আমি অভিযুক্ত নই। তারা আমার বিরুদ্ধে কিছুই বলেনি-শুধু একটা জিনিসই বলেছে যে, আমি সেখানে গিয়েছি আর বক্তব্য রেখে চলে এসেছি। এটা গোপন বিষয় নয়। আমার দেওয়া প্রতিটি বক্তব্যই জনগণের সামনে রাখা।’