সান নিউজ ডেস্ক: পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ সেনাদের আগ্রাসনের মধ্যেই সামরিক পোশাকে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন লেসিয়া-ভালেরি যুগল। ইউরো নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন অস্ত্র না ফেললে অভিযান চলবে
সেনা বাহিনীতে কাজ করা এই যুগলদের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন কিয়েভের মেয়র। তিনি বলেন, তারা অনেকদিন ধরেই একসাথে আছেন, এবার বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এমনভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পেরে লেসিয়া-ভালেরি দম্পত্তি বেশ আনন্দিত। লেসিয়া বলেন, এই যুদ্ধের মধ্যে বেঁচে আছি আমরা তাতেই খুশি। নতুন দিনের শুরু। আমার স্বামীও আমার সাথে আছে।
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে গোস্টোমেল শহরের মেয়র রুশ বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন। সোমবার (৭ মার্চ) বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গোস্টোমেল শহর কর্তৃপক্ষ ফেসবুক পেজে জানায়, গোস্টোমেলের প্রধান ইউরি ইলিচ প্রিলিপকো ক্ষুধার্তদের রুটি এবং অসুস্থদের ওষুধ বিতরণ করার সময় নিহত হয়েছেন।
এর আগে, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদেমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন অস্ত্র না ফেললে দেশটিতে চলমান সামরিক বিশেষ অভিযান বন্ধ করা সম্ভব নয়। তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের কাছে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
আরও পড়ুন: গুঁড়িয়ে গেল ইউক্রেনের বিমানবন্দর
ইতোমধ্যে প্রাণ বাঁচাতে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্শিতী রাষ্ট্র পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১০ লাখ ইউক্রেনীয়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ দিনের সামরিক অভিযানে ইউক্রেনে সাড়ে ৩ শ’রও বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশুও।
প্রসঙ্গত, হিটলার তার বক্তব্যে বলেছিলেন, যুদ্ধই জীবন, যুদ্ধই সার্বজনীন! সভ্য বিশ্বের কেউ আর একমত হতে চাইবেন না নিশ্চয়ই। তবুও জীবনে যুদ্ধ আসে, পরিচিত সবকিছু বদলে যায়। ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে অনেক কিছু। অনেক পরিকল্পা পায় না পরিণতি। তবে তার মাঝেও কেউ আছেন ব্যতিক্রম, যুদ্ধে হাতিয়ার হাতেই জীবনকে সাজিয়ে নেন নিজেদের মতো করে।
সান নিউজ/এনকে