সান নিউজ ডেস্ক: ‘ইউক্রেনের মানুষের সঙ্গে বর্বর আচরণের’ জেরে রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এবার বিশ্ব ব্যাংকও রাশিয়ায় তাদের সব কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। অভিযানে রাশিয়াকে সমর্থন দিয়েছে তার মিত্রদেশ বেলারুশ। তাই বেলারুশেও কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ৪৯৮ রুশ সেনা নিহত
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপর থেকে রাশিয়াতে নতুন করে ঋণ ও বিনিয়োগ অনুমোদন করেনি। ১৯৯০ এর পর থেকে রাশিয়াকে ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।
২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকে বেলারুশেও নতুন করে ঋণ অনুমোদন করেনি বিশ্বব্যাংক। সেসময় বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর বেলারুশের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, বুধবার (২ মার্চ) রাতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে ৪৯৮ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। এ যুদ্ধে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত এক হাজার ৫৯৭ সেনা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে বাংলাদেশি নাবিকদের বাঁচার আকুতি
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ এসব তথ্য তুলে ধরেন। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এই প্রথম যুদ্ধে হতাহতের তথ্য জানালো রাশিয়া।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) পর্যন্ত রাশিয়ার অভিযানে ইউক্রেনের ১৩৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ১৩ জন শিশু রয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার অভিযানের কারণে গত এক সপ্তাহে ইউক্রেন ছেড়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। যুদ্ধে জীবনের ভয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ইউক্রেনে থাকা লোকজনের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ল গ্যাসের দাম
বিবিসির প্রতিবেদক লেউইস গুডঅল জানান, ২০১৫ সালে শরনার্থী সঙ্কটের সময় ১৩ লাখ শরনার্থী হয়েছিল ইউক্রেন থেকে। আগামী এক সপ্তাহেই এই সংখ্যা পেরিয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া। অভিযান শুরুর পর গত কয়েক দিনের মধ্যে রুশ বাহিনী দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে ঢুকে পড়েছে। এসব শহরের রাস্তায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
সান নিউজ/এনকে