সান নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমাদেশগুলোকে মিথ্যার সাম্রাজ্য হিসেবে অভিহিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ক্রিমলিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর কঠিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিসুসতিন ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন।
বৈঠকে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আমি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলেছি। স্বাভাবিকভাবে কথিত পশ্চিমা কমিউনিটির নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মাথায় নিয়েছি।
কথিত পশ্চিমা কমিউনিটি যাদের আমি আগেই বলেছি ‘মিথ্যার সাম্রাজ্য’। এখন সেই নিষেধাজ্ঞা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা বেড়েছে ৩ গুণ
এদিকে সোমবার ( ২৮ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশনার পর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী ও নৌবাহিনী উচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রয়েছে।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স তাদের খবরে জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অবহিত করেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী, নৌবাহিনীর নর্দান এন্ড প্যাসিফিক অঞ্চলের নৌবহর ও দূরপাল্লার বিমান পরিচালনাকারী সংস্থা লড়াইয়ের অবস্থান নিয়েছে।
এ দিকে, লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আছে এমন দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার সাথে লড়াইতে ইউক্রেনকে রক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নৈতিকতার বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত সহজ নয়। কিন্তু প্রতিরক্ষার জন্য এটি কাজে লাগবে।
ভিডিওতে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রুশ সৈন্যদের অস্ত্র ব্যবহার না করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ৫ হাজারের অধিক রুশ সেনা নিহত
রুশ সৈন্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অস্ত্র ত্যাগ করো। এদেশে থেকে চলে যাও। তোমাদের কম্যান্ডারদের বিশ্বাস করোনা। প্রোপাগান্ডা বিশ্বাস করোনা। নিজের জীবন বাঁচাও।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রসন শুরু করেছে রাশিয়া। সংকট নিরসনে আলোচনায় বসতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার ইউক্রেনমুখী সৈন্য অগ্রগতি স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু কিয়েভ আলোচনা প্রত্যাখ্যান করায় শনিবার ফের অগ্রসর হতে শুরু করে রুশ বাহিনী।
সান নিউজ/এনকে