আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে হিজাব নিয়ে বিতর্কের জেরে এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। কর্ণাটকে উদপি সরকারি কলেজের হাজরা শিফা নামে আন্দোলনকারী এক মুসলিম শিক্ষার্থী এমন অভিযোগ করেন।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাইফ নামে একজনের ওপর এ হামলা চালানো হয়। উদপির বন্দর এলাকা মালপেতে এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর দাবি, সোমবার রাত ৯টার দিকে উদপির বন্দর এলাকা মালপেতে বিসমিল্লাহ হোটেলের সামনে তার ভাই সাইফের ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি দাবি করেন, হিজাবের পক্ষে আন্দোলন করায় তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এক টুইট বার্তায় পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, সরকারি কলেজে মেয়েদের হিজাব পরে ক্লাসে ঢোকা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সম্প্রতি। তারপরই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবারও বিতর্ক শুরু হয়। ছাত্রীদের হিজাবের পাল্টা হিসাবে বেশ কয়েকটি জায়গায় ছাত্ররা গেরুয়া স্কার্ফ বা শাল গায়ে ক্লাসে আসে। বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হিজাব বনাম গেরুয়া শাল বা স্কার্ফ নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয়দের আশ্রয় দেবে পোল্যান্ড
কলেজ কর্তৃপক্ষের বলেন, ছাত্রীদের ড্রেস কোড মানতে হবে। কলেজের ড্রেস কোডে কোথাও হিজাব পরার কথা নেই। তাই তারা হিজাব পরতে পারবেন না। বিতর্কের জেরে কর্ণাটক সরকার তিনদিন রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ ও পুদুচেরিতেও দেখা দিয়েছে তর্ক-বিতর্ক। এছাড়া বেঙ্গালুরুর স্কুল কলেজে ১৪৪ ধারা বাড়িয়ে ৮ মার্চ পর্যন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কর্নাটক হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মাণ্ড্যর প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সঙ্গে মুসকান খানের মুখোমুখি হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচনার ঝড় ওঠে। হিজাবের পক্ষে বিক্ষোভ হয়েছে দেশটির একাধিক রাজ্যে। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: কলাবাগানে হোটেলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪
শিক্ষার্থীদের আপাতত হিজাব বা যেকোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কর্ণাটক হাইকোর্ট। যতদিন এ বিষয়ে মামলা চলছে, ততদিন ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সাননিউজ/এমআরএস