নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গা নির্যাতনে মিয়ানমারের যেসব নাগরিক দায়ী তাদের বিরুদ্ধে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি বিচারের আওতায় আনতে তদন্ত জোরদার করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে একটি রেজুলেশন পাস হয়েছে।
সোমবার (২২ জুন) জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪৩তম অধিবেশনে ‘মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক ওই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় ওই প্রস্তাবে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। মানবাধিকার পরিষদে রেজুলেশনের পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৭টি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে দুটি দেশ। ৮টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
ওই প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলমান প্রক্রিয়া ও গাম্বিয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে চলমান কার্যক্রমকে স্বাগত জানানো হয় এবং এরূপ পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এখতিয়ারের কথাও পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়া (আইআইএম), মহাসচিবের বিশেষ দূত এবং মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের রাখাইন ও মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চলে নির্বিঘ্নে প্রবেশের অনুমতিসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য মিয়ানমারকে আহ্বান জানানো হয় ।
স্পেশাল রাপোর্টোরের কার্যকাল এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্তও এ প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে অনুমোদিত হয় এবং দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য স্পেশাল রাপোর্টোরকে অনুরোধ করা হয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে নিজেদের আবাসস্থলে ফেরত যেতে উৎসাহিত করতেও মিয়ানমারকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দিয়েছেন। তবে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে সসম্মানে ও স্বেচ্ছায় নিজ জন্মভূমিতে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মাধ্যমেই এই আন্তর্জাতিক সমস্যার স্থায়ী ও গ্রহণযোগ্য সমাধান সম্ভব।
বাংলাদেশ প্রস্তাবটি উপস্থাপনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে এবং প্রস্তাবটি কো-স্পন্সর করে।
রেজুলেশনের সপক্ষে মানবাধিকার পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর সমর্থন আদায়ে জোরালো ভূমিকা পালন করে।
সান নিউজ/সালি