আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রাজিলের শহর পিত্রপোলিসে ভূমিধস ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন চার শতাধিক মানুষ। এখনো চলছে উদ্ধারকাজ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন রাজ্যের গভর্নর ক্লদিও কাস্ত্রো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালেও সেখানে ৬ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে, যার কারণে মাটি আরও নাজুক হওয়ার পাশাপাশি জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা ও ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে। মুষলধারে বর্ষণের কারণে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দেয়। এতে বহু বাড়ি-ঘরও ধ্বংস হয়েছে। বৃষ্টি বন্যার কারণে সাত শতাধিক মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল ও অন্যান্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হচ্ছে।
ব্রাজিলের রিওডি জেনেইরোর গভর্নর ক্লাউডিও ক্যাস্ত্রো বুধবার দুর্যোগের ক্ষতিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিখোঁজের সংখ্যা নিয়ে পুলিশ ও প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের কাছ থেকে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, এমন মানুষ শতাধিক। প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের হিসাবে নিখোঁজ অন্তত ৩৫ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৪২ কোটি ছুঁইছুঁই
একের পর এক নতুন মৃতদেহ এলেও আগের মরদেহগুলো পরিবারের সদস্যদের শনাক্তের অপেক্ষায় থাকায় বৃহস্পতিবার স্থানীয় মর্গ ব্যাকআপ হিসেবে হিমায়িত একটি ট্রাক ব্যবহারে বাধ্য হয়েছে।
অল্প আলোর মধ্যে ভেজা মাটিতে জীবিতদের খোঁজে রাতভর কাজ করেছেন রিওডি জেনেইরোর বেসামরিক প্রতিরক্ষাপ্রধান লিয়েন্দ্রো মনতেইরো। তার মতো আরও পাঁচশর বেশি উদ্ধারকর্মী, প্রতিবেশী ও নিখোঁজদের আত্মীয়রা তাদের প্রিয়জনের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।
কেবল মঙ্গলবারের (১৫ ফেব্রুয়ারি) বৃষ্টিই শহরটির ফেব্রুয়ারি মাসের গড় বৃষ্টিপাতকে টপকে যায়, যার কারণে কাদা একাধিক সড়ক ছেয়ে ফেলে, অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস করে, গাড়ি-বাস ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
রিওডি জেনেইরো রাজ্যের পাহাড়ে অবস্থিত পর্যটকপ্রিয় পিত্রপোলিসে ১৯৩২ সালের পর এটিই সবচেয়ে ভারি বৃষ্টিপাত।
সাননিউজ/এমআরএস