আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কর্ণাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান হিজাব বিতর্ক নিয়ে ওআইসি'র কড়া সমালোচনা করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং অন্য কোনো দেশের এ বিষয়ে মন্তব্য করার অধিকার নেই।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসব কথা জানায়।
ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়টির মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হওয়ায় বহিরাগত কিংবা অন্য কোনও দেশের এ বিষয়ে মন্তব্য কাম্য নয়।
তিনি বলেন,আমাদের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া, বিচার ব্যবস্থা এবং গণতান্ত্রিক নীতি রয়েছে। এই বিষয়টি বিচারাধীন। কর্ণাটক হাইকোর্ট বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
আরও যোগ করে বাগচি বলেন,‘ভারতের সংবিধান ও জনগণের বিষয়ে বাইরের কারও মন্তব্য করার অধিকার নেই’, ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বক্তব্য দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।
এরই পরিপ্রেক্ষিতেই দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন জাবাব এসেছে।
এ সময় ওআইসি'র কড়া সমালোচনা করে অরিন্দম বাগচী বলেন, ওআইসি সচিবালয়ের সাম্প্রদায়িক মানসিকতা এই ঘটনার বাস্তবতাকে যথাযথ উপলব্ধি করতে পারবে না। এই ধরনের মন্তব্য ভারতের বিরুদ্ধে তাদের ঘৃণ্য অপপ্রচার। সূত্র: এনডিটিভি।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে গত মাসে। উদুপি জেলার সরকারি বালিকা পিইউ কলেজে ৬ জন মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বসতে বাধ্য হয়।
সেসময় কলেজ প্রশাসন জানায়, ইউনিফর্মের অংশ নয় হিজাব এবং ওই ছাত্রীরা কলেজের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। ছাত্রীদের ক্লাসে হিজাব পরার বিষয়ে আপত্তি জানায় স্থানীয় ডানপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠী ও তাদের ছাত্র সংগঠন।
উদুপির এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের মান্দিয়া এবং শিভামোগগা এলাকায়। সেখানকার কলেজ কর্তৃপক্ষ হিজাব নিষিদ্ধ করে।
যদিও আইনে হিজাব পরে মুসলিম ছাত্রীদের ক্লাসে আসতে কোনও বাধা নেই।
পরে উদুপির একটি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রী হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন।
সান নিউজ/ এইচএন