আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে বিধিনিষেধ কঠোর করছে ইন্দোনেশিয়া। রাজধানী জাকার্তা ও পর্যটন দ্বীপ বালিসহ বৃহত্তম দ্বীপ জাভার দুই শহর বান্দুং ও ইয়োগিয়াকার্তা শহরে বিধিনিষেধ কঠোর করার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির সরকার।
দেশটির জ্যেষ্ঠ ক্যাবিনেট মন্ত্রী লুহুত পান্দজাইতান সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
পান্দজাইতান জানান-যেসব এলাকায় বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে, সেসব শহর ও প্রদেশের সুপারমার্কেট, শপিং মল ও রেস্তোরাঁসমূহ মোট ধারণক্ষমতার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত জনউপস্থিতি রাখতে পারবে।
আর ধর্মীয় উপসনালয়ে সর্বোচ্চ উপস্থিতি থাকতে পারবে মোট ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ মানুষের। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে বলে ঘোষণায় উল্লেখ করেছেন পান্দজাইতান।
আরও পড়ুন: বাবুল সুপ্রিয়র ওপর হামলা
২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এশিয়ার যেসব দেশ করোনায় সবচেয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে—সেসবের মধ্যে অন্যতম ইন্দোনেশিয়া। সরকারি হিসেব অনুযায় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৫ লাখ ৪২ হাজার ৬০১ জন এবং এই রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৩৬ জনের।
করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ইন্দোনেশিয়ায়ও বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। রোববার দেশটিতে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজারেরও বেশি।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানী জাকার্তার হাসপাতালগুলোর ৬৩ শতাংশ শয্যা বর্তমানে আছে করোনায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দখলে। গত জানুয়ারিতে এই হার ছিল ৪৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভারতের ফের স্কুল-কলেজ চালু
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাজধানী জাকার্তাসহ বানতেন ও বালি প্রদেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন সাদিকিন।
সান নিউজ/এনকে