আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন ও রশিয়ার চলমান চরম উত্তেজনার মধ্যে মধ্যস্থতা করতে ইউক্রেন সফর যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান আজ।
আজ বৃহস্পতিবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে— ইউক্রেন ইস্যুতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়দেশের প্রেসিডেন্টের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও এরদোগান বর্তমানে বিভিন্ন ফ্রন্টে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে সামরিক অবস্থান অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। তবু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ওই অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমনের আশা করছেন।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো আসলি আইদিনতাসবাস বলেছেন, এরদোগান বিশ্বাস করেন, মধ্যস্থতা করার মতো অনন্য অবস্থান তার রয়েছে। তিনি বলেন, তুরস্ক এ সংঘাত চায় না। এরদোগান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট (ভলোদিমির) জেলেন্সকির সঙ্গে তার সুসম্পর্কের সদ্ব্যবহার করতে চান।
কারণ, তুরস্ক ন্যাটোভুক্ত দেশ এবং পুতিনের সঙ্গে এরদোগানের সত্যিই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাই তিনি আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এরদোগানের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তবে, ইস্তানবুলের কাদির হাস বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মুস্তাফা আইদিন সতর্ক করছেন যে, তুর্কিনেতা এরদোগান একটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
অধ্যাপক মুস্তাফা আইদিন বলেন, তুরস্ক আসলে মধ্যস্থতা করার মতো ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমার হতাশা আসছে রাশিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে। আমার মনে হয় না রাশিয়া নিজেদের মধ্যে অর্থাৎ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতা খুঁজছে। তারা ইউক্রেনের চেয়ে মার্কিন শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে।
গত মাসে তুরস্ক সফরের জন্য এরদোগানের প্রস্তাবে পুতিন বলেছিলেন, তিনি কোভিড মহামারি শেষ হলে যাবেন। কিছু বিশ্লেষক পুতিনের এ অবস্থানকে তুরস্কের ভূমিকার প্রতি রাশিয়ার অনিচ্ছার ইঙ্গিত হিসেবে দেখেন।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতে যুদ্ধ জাহাজ-বিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনের ডেমোক্রেটিক ইনিশিয়েটিভস ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো পেট্রো বুরকোভস্কি বলছেন, ইউক্রেন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুরস্কের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন।
তবে বুরকোভস্কি মনে করেন— জেলেন্সকি এরদোগানেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চাইতে পারেন।
সান নিউজ /এইচএন