আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর হাতকে শক্তিশালী করতে ইউক্রেন-রাশিয়া উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব ইউরোপে আরও ৩ হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে এটিকে ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ হিসেবে মন্তব্য করে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে রুশ সরকার। সংবাদ এএফপি’র।
রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন করা ১ লাখ সৈন্য প্রত্যাহারে রাজি হয়নি। রুশ বাহিনী যেকোনো সময় সাবেক সোভিয়েতের অংশটি আক্রমণ করতে পারে বলে বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করছে পশ্চিমা বিশ্ব।
এমন পরিস্থিতিতে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর শক্তি বাড়াতে আরও ৩ হাজার সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ৩ হাজারের সৈন্যের মধ্যে জার্মানিতে থাকা ১ হাজার সেনা পাঠানো হচ্ছে রোমানিয়ায় এবং আরও ২ হাজার সেনা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে জার্মানি ও পোল্যান্ডে যাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ঘোষণার পর বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যতক্ষণ আগ্রাসী আচরণ করবেন, আমরা পূর্ব ইউরোপে আমাদের ন্যাটো মিত্রদের আশ্বস্ত করতে থাকবো যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে রয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের এমন ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্দার গ্রুশকো সতর্ক করে বলেছেন, এটি দুই পক্ষের সমঝোতার পথ আরও কঠিন করে তুলবে।
পূর্ব ইউরোপে বাড়তি মার্কিন সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তকে ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে সামরিক উত্তেজনা বাড়বে ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সুযোগ কমে আসবে।
রাশিয়াকে ইউক্রেন আক্রমণ থেকে বিরত রাখতে হুমকি-ধামকির পাশাপাশি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো। যদিও মস্কো বারবার বলে আসছে, কেউ বাধ্য না করলে তাদের ইউক্রেন আক্রমণের কোনো ইচ্ছা নেই।
২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ঘোষণা দিয়েছেন, এ বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি শিগগির রাশিয়া সফরে যাবেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁও একই আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। তবে তার বিষয়টি নির্ভর করছে অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আসন্ন ফোনালাপের ওপর।
এদিকে, পেন্টাগন মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপে নতুন সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত ন্যাটোর প্রতি পূর্বপ্রতিশ্রুতির অংশ। কোনো মার্কিন সেনা ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে যাচ্ছে না। কারণ, তারা এখনো ন্যাটো সদস্য নয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ব্রুনাইয়ের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
তবে পেন্টাগনের এমন কথায় পুতিন আস্থা রাখবেন বলে মনে হচ্ছে না। তিনি জানান পশ্চিমাদের কোর্টে ঠেলে গত মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই চাচ্ছে রাশিয়া যেন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায়। এর মাধ্যমে মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ইচ্ছা ওয়াশিংটনের। সূত্র: এনডিটিভি।
সান নিউজ/ এইচএন