মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে লেলিয়ে দিতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তার দেশ ইউক্রেনে হামলা চালাতে চায় না, বরাবরই এমন দাবি করে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু বার বার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। কিন্তু এ নিয়ে প্রথম বারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেন, একটি সংঘাতের ঘটনার অজুহাতে রাশিয়ার ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: সন্তানসহ করোনায় আক্রান্ত জাস্টিন ট্রুডো
পুতিন বলেন, ইউরোপের ন্যাটো বাহিনীকে ঘিরে রুশ উদ্বেগকে পাত্তাই দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।
কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো যুদ্ধের যে আশঙ্কা প্রকাশ করছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেন আক্রমণের কোনো পরিকল্পনাই তাদের নেই।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক বৈঠকে বসেছিল। কিন্তু সেই বৈঠক মোটেও ভালো অভিজ্ঞতার ছিল না। ওই বৈঠকে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে যে পরিমাণ সেনা মোতায়েন করেছে তা গত কয়েক দশকের মধ্যে দেখেনি ইউরোপ। ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা, ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি এবং ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিকে বৈঠকে রাশিয়ার বিশেষ দূত অভিযোগ করেন, রাশিয়ার বিষয়ে উম্মাদ এবং অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আক্রমণ করে তবে তাদের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস বলেন, ক্রেমলিনের ঘনিষ্ট ব্যক্তি এবং ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বর্তমানের তুলনায় আরও বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আইনপ্রণেতারা।
অপরদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল মঙ্গলবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ আক্রমণে শুধু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হবে না বরং, এটি হবে ইউরোপে একটি পরিপূর্ণ যুদ্ধ।
সান নিউজ/ এইচএন