কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো চরম জটিলতার মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করছেন। একদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, অপরদিকে টিকা ও কোয়ারেন্টাইনবিরোধী বিক্ষোভ চলছে দেশটিতে।
এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন ট্রুডো।
বিবিসির এক সংবাদে জানানো হয়, কানাডার রাজধানী অটোয়া ট্রাকচালকদের অবরোধের মুখে অচল হয়ে আছে। টিকা না নেওয়া ট্রাকচালকরা তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ করছেন।
এ অবস্থায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবার শনিবার অটোয়া ছেড়ে অজানা স্থানে আত্মগোপনে চলে যান।
দেশটির ট্রাকচালকরা তাদের এই বিক্ষোভের নাম দিয়েছেন ‘ফ্রিডম কনভয়’। করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করা ও বিধিনিষেধের প্রতিবাদে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ট্রাক নিয়ে রাজধানী অটোয়ায় আসেন। কানাডার পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা অবরোধ করে রাখেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে ফেব্রুয়ারিতে
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, চলমান বিক্ষোভে একসঙ্গে শত শত ট্রাকের ইঞ্জিনগুলো গর্জন করে ওঠে। চালকরা প্রতিবাদে হর্ন বাজাতে থাকেন অনবরত। ফলে কানাডার রাজধানী এক প্রচণ্ড কোলাহলের শহরে পরিণত হয়। ট্রাকের সংখ্যা আনুমানিক ২০ হাজারের মতো হবে।
৩১ বছর বয়সী একজন বিক্ষোভকারী জানান, আমি চাই সব বন্ধ হোক। মহামারি নিয়ন্ত্রণে এই ব্যবস্থাগুলো অযৌক্তিক।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি ট্রাকচালকদের জন্য নতুন বিধিনিষেধ জারি করে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এর মধ্যে একটি হলো-যেসব ট্রাকচালক করোনাভাইরাসের টিকা নেননি, তারা সীমান্ত পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত করলে, ফেরার পর তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
দেশটিতে এই বিধিনিষেধ জারির পর থেকেই বিক্ষোভে নামেন ট্রাকচালকরা।
কানাডিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনিতা আনন্দ বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে বলেন, এসব ঘটনা কেবল নিন্দনীয় বললে কম হবে।
সান নিউজ/ এইচএন