ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ লাখেরও বেশি মানুষ এবং এই ভাইরাসে মারা গিয়েছে সাড়ে ৪ লাখ। এই সংকটময় অবস্থায় বিরাট সুখবর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংস্থাটি বলছে এ বছরের শেষ নাগাদই পাওয়া যাবে করোনা ভ্যাকসিন বা টিকা। সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) জেনেভায় করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্লেনে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডব্লিউএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে গবেষকরা ২০০টিরও বেশি ভ্যাকসিনের উপর পরীক্ষা করছেন। এর মধ্যে মানব দেহের ট্রায়ালে আছে ১০টি ভ্যাকসিন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যদি খুব ভাগ্যবান হয়ে থাকি তবে এই বছরের শেষের আগে একটি বা দুটি সফল ভ্যাকসিন প্রার্থী থাকবে।
ভ্যাকসিনের ডোজ সরবরাহের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন তিনটি গ্রুপ চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই গ্রুপগুলোর শীর্ষে রয়েছে চিকিৎসক ও পুলিশ অফিসারদের মতো উচ্চ এক্সপোজারসহ ফ্রন্ট-লাইনের কর্মীরা। দ্বিতীয় সারিতে রয়েছে বয়স্ক ও ডায়াবেটিস রোগী, যারা করোনায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। আর তৃতীয় দফায় করোনার উচ্চ-সংক্রমিত এলাকাগুলো, যেমন- শহুরে বস্তি ও কেয়ার হোমসগুলোতে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।
স্বামীনাথন বলেন, করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্বলদের প্রাধান্য দেয়া হবে। তারপরে ধীরে ধীরে আরও বেশি লোককে টিকা দিতে হবে। আমরা আশাবাদী, এই বছরের শেষের দিকে কয়েকশ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। আর ২০২১ সালের মধ্যে এক, দুই বা তিনটি কার্যকর ভ্যাকসিনের দুই বিলিয়ন ডোজ সারা বিশ্বে বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, ভাইরাসটি দমনে আনুমানিক ১৫ বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে।
সান নিউজ/ আরএইচ