আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গার উপকূলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সুনামি আঘাত হানার পর আশঙ্কা করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানেও সুনামি হতে পারে।তবে পরে ওই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছে।
রোববার দ্য প্যাসিফিক টিসুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার (পিটিডব্লিউসি) একথা জানায়। এর আগে সুনামি সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান তাদের নাগরিকদের উপকূলীয় এলাকা থেকে দূরের কোনো নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
এদিকে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, সুনামির কারণে টোঙ্গার রাজধানী নুকুআলোফায় অনেক নৌকা ডুবে গেছে। আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে আবৃত্ত হয়ে গেছে পুরো রাজধানী। তবে বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রয়েছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারনে আমরা সেখানে বিমান বাহিনীর একটি প্লেন পাঠাবো। সবচেয়ে ভালো খবর হল এখন পর্যন্ত ওই দেশটিতে কারও নিহত বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, টোঙ্গায় যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন। আমরা সেখানে সব ধরনের সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছি।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৫ জানুয়ারি) টোঙ্গার উপকূলে হুনগা টোঙ্গা-হুনগা হাপাই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এর জেরে দেশটির দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলে ভূকম্পন অনুভূত হয়। সে সময় টোঙ্গার আবহাওয়া দপ্তর দেশজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করে। সূত্র: বিবিসি।
সাননিউজ/জেএস