আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সম্প্রতি নেপাল পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয় নাগরিক নিহত ও এ ঘটনায় আরও দুই ভারতীয় নাগরিক গুরুতর আহত ও একজনকে গ্রেফতার করে নেপাল পুলিশ। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালো ভারতীয় গণমাধ্যম।
আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, বিহারের সীতামারি সীমান্তে নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে ৭৫ মিটার দূরে নেপালি ভূখণ্ডের ভেতর ঘটলেও পরবর্তীতে জানা যায় নেপাল পুলিশ ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকেই গুলি করে ভারতীয় নাগরিকদের।
সীমান্তবর্তী জানকীনগরের বাসিন্দা নীতীশ কুমার বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় গুলি চলে। ১০-১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে নেপালের বাহিনী।
আরেক গ্রামবাসী অজিত কুমার বলেন, নেপাল পুলিশকে আগে কখনও এমন আচরণ করতে দেখিনি।
ঘটনার দিন আটককৃত স্থানীয় বাসিন্দা লগনকিশোর তার ছেলে ও পরিবারকে নিয়ে সীমান্ত লাগোয়া নেপালের গ্রামে পুত্রবধূর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সীমান্ত পেরনোর সময় তাকে আটকায় নেপাল পুলিশ।
লগনের দাবি, তর্কাতর্কি শুরু হলে হঠাৎই তাকে রাইফেলের বাট দিয়ে মারতে মারতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নেপাল সশস্ত্র পুলিশ। লগনের ছেলেকেও মারধর করা হয়। সে সময় কয়েকজন ভারতীয় কৃষক এগিয়ে এলে নেপালি বাহিনী গুলি ছুড়তে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই নিহত হন বিকাশ যাদব। উমেশ রাম, উদয় ঠাকুর-সহ তিন কৃষক জখম হন।
লগন বলেন, গুলি চলার সময় আমি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলাম। সে সময় আমাকে ভারতের এলাকায় ঢুকে ফের আটক করে নেপাল পুলিশ। সংগ্রামপুর চৌকিতে নিয়ে গিয়ে আমাকে মারধর করা হয়। জোর করে জবানবন্দি আদায় করে যে, আমি নেপালে ঢুকেছিলাম।
গত শনিবার সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে লগনকে ভারতীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেয় নেপালের পুলিশ। ভারতীয় বাহিনীকে জানানো হয়, অস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাঁটাতারবিহীন লালবন্দি-জানকীনগর সীমান্তে কখনোই কোনো কড়াকড়ি ছিল না। পাসপোর্ট-ভিসার কোনো ঝামেলা না-থাকায় দুদেশের নাগরিকরা অবাধে আসা যাওয়া করতে পারেন।
সান নিউজ/সালি