তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কাজাখস্তানে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ২২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। খবর- আল-জাজিরা।
শনিবার স্থানীয় সময় দেশটির প্রোসিকিউটর কার্যালয়ের ফৌজদারি মামলার প্রধান সেরিক শালাবায়েভ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়, নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক ও সশস্ত্র ‘দুর্বৃত্তরা’অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, সহিংসতার পর অনন্ত ২ হাজার ৬০০ মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৬৭ জন অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। দেশটির স্বাধীনতার ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা।
দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, চলমান বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বহিরাগত ‘সন্ত্রাসী’। তারা বৃহত্তম শহর আলমাতিতে বিক্ষোভকারীদের সাথে যুক্ত হয়ে ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
অপরদিকে চলমান অস্থিরতা নিরসন করতে সিএসটিও-ভুক্ত (কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন) দেশগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েছেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ। এ আহ্বানের পরই প্রতিবেশী দেশে সৈন্য পাঠানো শুরু করে রাশিয়া।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কাজাখ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভের জের ধরে ৫ জানুয়ারি কাজাখ সরকারের পতন ঘটে। প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ দেশটির প্রধানমন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেন। একই সঙ্গে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
সাননিউজ/এসএ