আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ময়নাগুড়িতে বিকানের-গৌহাটি এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ট্রেনটির ৬টি বগি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। রেল লাইনের ধারেই এখনও পড়ে রয়েছেন বহু মানুষ। এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ময়নাগুড়ির দোমোহানি দিয়ে যাচ্ছিল বিকানের এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ৪০ কিলোমিটার বেগে যাচ্ছিল। হঠাৎ লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটির ৬টি বগি। তিনটি বগি একেবারে উল্টে যায়। একটি বগির উপর উঠে যায় আরেকটি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিকানের-গৌহাটি এক্সপ্রেসের ৬টি বগি লাইনচ্যূত হয়ে গিয়েছে। একটি বগির উপর উঠে গিয়েছে আরেকটি বগি। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে। তবে, কত মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে, তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুপুরে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পেরে তাঁরা এগিয়ে আসেন। তখনই দেখেন ওই ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যূত হয়েছে। একটি বগির উপর আরেকটি বগি উঠে গিয়েছে। অন্ধকার নেমে আসায় হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ৪টি যাত্রীবাহী কামরা লাইনচ্যূত হয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা নীলাঞ্জন দেব বলেছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ ময়নাগুড়ি এবং নিউ দোমোহনি সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির জেলা প্রশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, আমরা তিন জনের মরদেহ পেয়েছি। উদ্ধারকাজ চলছে। ময়নাগুড়ি স্টেশনে ঢোকার মুখেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা আলোর ব্যবস্থা করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছি। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে ১০ থেকে ১২ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া আলিপুরদুয়ারের বিভাগীয় রেল আধিকারিক দিলীপ কুমার সিং জানান, বিকানের এক্সপ্রেসের ৪টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। করোনার জেরে ট্রেনে যাত্রী কম ছিল। ইতিমধ্যে রেলের আধিকারিকরা উদ্ধারকারী ট্রেন নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ