আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীনের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভানে।
বুধবার বেজিংয়ের উদ্দেশে পাঠানো বার্তায় তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ সীমায় সর্বাধিক প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতীয় সেনা। ইস্টার্ন লাদাখে ভারতীয় বাহিনী সক্রিয় থেকে কিছুটা হুমকি কমিয়েছে। পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ ঘিরে যে বিতর্ক রয়েছে, সেটার সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই হবে। তবে প্রতিবেশী দেশের পক্ষ থেকে কোনও সামরিক আগ্রাসন হলে আমাদের বাহিনী সদা প্রস্তুত।‘
সামরিক বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, সীমান্ত সমস্যা সমাধানে এখন ইন্দো-চীন বৈঠক চলছে। সেই বৈঠকের আবহেই সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, আমাদের দিকে কোনও চ্যালেঞ্জ ছোড়া হলে, আমরা তার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। যেকোনও প্রকার হুমকির বিরুদ্ধে লড়তে আমরা নানাভাবে প্রস্তুত হয়ে রয়েছি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, বুধবার সীমান্ত সমস্যা সমাধানে বৈঠকের আগে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। প্রতিবেশীদের ভয় দেখানোর কূটনীতি করছে বেজিং। সহযোগী দেশগুলোকে সার্বিকভাবে সাহায্য করবে ইউএস। এভাবেই মঙ্গলবার সরব হয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের প্রেস সচিব জেন সাকি। জানা গিয়েছে, ইস্টার্ন লাদাখের সীমান্ত বিবাদ মেটাতে বুধবার ১৪তম বৈঠকে বসেছে ভারত ও চীন। তার আগে বাইডেন প্রশাসনের প্রেস সচিব জেন সাকির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
বাইডেন প্রশাসনের প্রেস সচিব জেন সাকি আরও বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি এবং চাইছি আলোচনার মাধ্যমেই শান্তিপূর্ণভাবে সীমান্ত সমস্যার সমাধান হোক।‘
সাপ্তাহিক প্রেস বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এই অবস্থান এবং চীনের প্রতিবেশিী দেশের প্রতি ভয় দেখানোর কূটনীতি বজায় থাকলে, সেই অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতি নষ্ট হতে পারে।‘
ভারতের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের সম্পর্ক প্রসঙ্গে সাকি জানান, অনেকগুলো লক্ষ্য নিয়ে আমাদের সরকার ভারতের সঙ্গে দৌত্য বাড়াবে। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ব্যবস্থা, দ্বিপাক্ষিক এবং কোয়াড গোষ্ঠীর মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়ান হবে। বাণিজ্য, সাইবার এবং প্রযুক্তিগত মাধ্যমে সহযোগিতা বাড়ানো বাইডেন সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য।
সাননিউজ/এএএ