ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বিরোধপূর্ণ কাশ্মিরের লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার (১৫ জুন) রাতের ওই সংঘাতের ঘটনায় তিন সেনা নিহতের কথা জানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) ওই ঘটনায় আহত আরও বেশ কয়েক জন সেনা সদস্য মারা গেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
দেশটির বার্তা সংস্থা এনআইয়ের দাবি এই ঘটনায় চীনের অন্তত ৪৩ সেনা নিহত বা মারাত্মক আহত হয়েছে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ কোনও হতাহতের কথা স্বীকার করেনি।
গত মাসের শুরুর দিক থেকে প্যানগং (পূর্ব লাদাখ) এবং নাকু লা (সিকিমের) এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার খবর আসতে থাকে। সেই থেকেই দুই পক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চলছে। তখন থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর প্রচুর সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়। তবে গত সপ্তাহে উভয় দেশের তরফ থেকে উত্তেজনা নিরসনে ইতিবাচক অগ্রগতির কথা জানানো হয়।
এর মধ্যে সোমবার (১৫ জুন) রাতে দুই দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে গত ৪৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রাণঘাতী সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ গালওয়ান উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ রেখার প্রতি সম্মান দেখাতে গত সপ্তাহে সম্মত হওয়া একটি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে চীন। ভারতীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনা কর্তৃপক্ষ একপাক্ষিকভাবে ওই অঞ্চলের স্থিতাবস্থা ভঙ্গের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।
চীনা কর্তৃপক্ষ কোনও হতাহতের কথা নিশ্চিত না করলেও ওই ঘটনার জন্য ভারতীয় সেনা সদস্যদের দায়ী করেছে। বেইজিংয়ের অভিযোগ ভারতীয় সেনারা তাদের সীমানায় ঢুকে পড়ে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন সোমবার (১৫ জুন) দুইবার ভারতীয় সেনারা তাদের সীমানায় প্রবেশ করে উস্কানি দেয় এবং চীনা সেনাদের ওপর হামলা চালায়। আর এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক শারীরিক সংঘাত শুরু হয়।
ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত অতিক্রম করবেন না, সমস্যায় উস্কানি দেবেন না, এক পাক্ষিক পদক্ষেপ নিয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি জটিল করে তুলবেন না।’
এদিকে ২০ সেনা নিহতের খবর প্রকাশের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সান নিউজ/ আরএইচ