আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবৈধ ওয়াকিটকি রাখাসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দি গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে আরও চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার (১০ জানুয়ারি) জান্তাশাসিত দেশটির একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন।
খবরে বলা হয়, ৭৬ বছর বয়সী এই নোবেল বিজয়ী বেসামরিক রাজনৈতিক নেত্রীকে ওয়াকিটকি রাখার মামলায় দুই বছর ও করোনাবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতারির পর সামরিক আদালতে চলমান মামলায় সু চির বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় রায়।
এর আগে উত্তেজনা ছড়ানো ও করোনাবিধি লঙ্ঘনের পৃথক দুই মামলায় এক সামরিক আদালতে সু চিকে গত ৭ ডিসেম্বর চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে দেশটির সামরিক জান্তা প্রধান মিন অঙ লাঙের আদেশে সু চির বিরুদ্ধে দুই বছরের কারাদণ্ড কমানো হয়।
ওই সময় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, অং সান সু চির ‘বর্তমান অন্তরীণ থাকা অবস্থানেই’ এই দণ্ড ভোগ করবেন তিনি। তবে সোমবারের রায়ের ক্ষেত্রেও একই আদেশ প্রযোজ্য হবে কি না এবং বর্তমানে সু চি কোথায় রয়েছেন, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন, দুর্নীতি ও টেলিযোগাযোগের একটি আইন লঙ্ঘনসহ সু চির বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা দায়ের করেছিলো সামরিক সরকার। ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাতমাদাও দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। পরে ১ আগস্ট জরুরি অবস্থার মেয়াদ ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং লাইং।
সান নিউজ/এমকেএইচ