আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে আছড়ে পড়া শক্তিশালী টাইফুন রাইয়ে এখন পর্যন্ত ৩৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৫৬ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫শ জন।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফ্রান্সের অনলাইন সংবাদামধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর।
তবে দেশটির জলবায়ুবিদরা জানিয়েছেন, ফিলিপাইনের এযাবৎকালের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ছিল রাই।
ফিলিপাইনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এএফপি বলেছে, ঝড় আসার পর ৩ লাখেরও বেশি মানুষ বাড়িঘর ও সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টগুলো ছেড়ে আপৎকালীন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উঠেছেন।
দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিয়ারগাও দ্বীপে যখন আছড়ে পড়েছিল রাই, সে সময় ওই দ্বীপে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার (১২০ মাইল)। শুক্রবার সকালে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার।
দুই দিনের ঝড়ের তাণ্ডব ও প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভূমিধস এবং গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ফিলিপাইনের গোটা মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ সড়ক। অসংখ্য ভবন ও বাড়িঘরের ছাদ-দরজা-জানালা উড়ে গেছে প্রবল বাতাসে।
আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা রেডক্রসের ফিলিপাইন শাখা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টাইফুন রাইয়ের কারণে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে- তাকে কেবল ‘পূর্ণাঙ্গ হত্যালীলার’ সঙ্গেই তুলনা করা যায়।
টাইফুনের আঘাতের পর কিছু কিছু এলাকায় ভূমিধস এবং প্রচণ্ড বন্যা দেখা দিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় অনেক এলাকার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনও জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির সেই তথ্য এলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন আর্থার।
সান নিউজ/এনকে