আন্তর্জতিক ডেস্ক: ভারতের রাজধানী দিল্লির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় সারোজিনি এলাকায় প্রেমিকার মান ভাঙাতে দামি উপহার দিতে দিনদুপুরে ডাকাতির দুঃসাহস দেখাতে গিয়েছিলেন এক যুবক, সঙ্গে ছিল দুই বন্ধু।
তারা প্রাথমিক লক্ষ্যটুকু পূরণ করতে পারলেও শেষরক্ষা হয়নি, পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হয়েছে সবাইকে। উদ্ধার করা হয়েছে খোয়া যাওয়া সব মালামালও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুসারে, তিন অভিযুক্তের নাম শুভম (২০, আসিফ (১৯) এবং শরিফুল মোল্লা (৪১)।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা অপরাধীদের শনাক্ত করতে ভিডিও ফুটেজ জোগাড়ের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওই এলাকায় কোনো সিসি ক্যামেরা ছিল না। তবে ভুক্তভোগী জানান, ডাকাতির সময় এক ডাকাত তাদের একজনকে শুভম নামে ডেকেছিল। এরপর শুভম নামে অপরাধীদের প্রায় ১৫০টি ফাইল পরীক্ষা করে পুলিশ এবং শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তকে শনাক্ত করে।
জিজ্ঞাসাবাদে শুভম জানান, গত জুলাইয়ে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের জন্য গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি এবং নভেম্বরে ছাড়া পান। কারাগারে থাকার সময় আসিফের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় শুভমের এবং ছাড়া পাওয়ার পর তারা আবারও দেখা করেন।
ভুক্তভোগী আদিত্য কুমারের অভিযোগ, স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি সারোজিনি নগরের বাসায় একাই ছিলেন। এসময় তার ডোর বেল বেজে ওঠে। তিনি দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে কিছু লোক জোর করে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে এবং পিস্তল দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে।
আদিত্য কুমার ডাকাতদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনজনের সঙ্গে শক্তিতে পেরে ওঠেননি। তারা তাকে মারতে মারতে মেঝেতে ফেলে বিছানার চাদর দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর ঘরে থাকা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, কাপড়-চোপড়সহ ব্যাগ, জ্যাকেট, জুতা, হাতঘড়ি, স্কুটার প্রভৃতি নিয়ে চলে যায়।
এর কিছুক্ষণ পর হাতের বাঁধন খুলতে সক্ষম হন আদিত্য এবং ঘরে থেকে যাওয়া আরেকটি ল্যাপটপ থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি স্বজনদের জানান। এরপর তারাই পুলিশে খবর দেন।
গত শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) শুভমের পাশাপাশি তার দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুভমের বিরুদ্ধে এর আগে আরও দুটি এবং আসিফ ও শরিফুলের বিরুদ্ধে তিনটি করে মামলা রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে