ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প শনিবার (১৩ জুন) গভীর রাতে আঘাত হেনেছে জাপানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্র ছিল ৬ দশমিক ৩। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এতে কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কোনও সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি।
জাপানি আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম কিওডো নিউজ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো করানো সংকট সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে জাপান। তার মধ্যেই আবারও দেশটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানলো।
জাপানের ভূমিকম্প দপ্তর জানায়, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫১ মিনিটের দিকে জাপানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আমামি-ওশিমা দ্বীপপুঞ্জের কাগোশিমা এলাকায় আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৬০ কিলোমিটার গভীরে। জাপানের ওকিনাওয়া এবং দেশের দক্ষিণতম প্রধান দ্বীপ কিউশুতেও ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহত বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল আরও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল জাপানে। রিখটার স্কেলে সেই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.৯।
প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের 'রিং অফ ফায়ার' অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় জাপানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। 'রিং অফ ফায়ার'র সোজা বাংলা 'আগুনের গোলা'। এটি এমন একটি কাল্পনিক বেল্ট, যা ঘোড়ার খুড়ের মতো প্রধানত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে ঘিরে রেখেছে। রিং অফ ফায়ারের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলগুলি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ।
ভূ-তাত্ত্বিকরা জানান, রিং অফ ফায়ারের কারণেই বিশ্বে ৯০ শতাংশ ভূমিকম্প হয়ে থাকে। কেননা ৪০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই রিং অফ ফায়ার অঞ্চলে ৪৫২টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যা পৃথিবীপৃষ্ঠে অবস্থিত মোট আগ্নেয়গিরির ৭৫ শতাংশ। এশিয়ার জাপান, পলিনেশিয়ার টোঙ্গো, দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডর রিং অফ ফায়ার-এর অন্তর্ভুক্ত। তাই এসব অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
সান নিউজ/ আরএইচ