আন্তর্জতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে একদিনে ৭৮ হাজার ৬১০ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশটিতে করোনা সংক্রমণের বিচারে সর্বোচ্চ। এই সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। অবশ্য দেশটিতে করোনায় আক্রান্তদের ৪০ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে দিন দু’য়েক আগে জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। আর তাই সংক্রমণের এই উল্লম্ফনের পেছনে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবিসি বলছে, বুধবারের আগে যুক্তরাজ্যে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড ছিল চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি। দেশটিতে সেসময় লকডাউন জারি থাকলেও সেদিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৮ হাজার ৫৩ জন। আর বুধবার আক্রান্ত হলেন ৭৮ হাজার ৬১০ জন। অর্থাৎ আগের রেকর্ডের তুলনায় করোনায় একদিনে ১০ হাজার মানুষ বেশি সংক্রমিত হলেন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬৫ জন। প্রায় ৬ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশটিতে মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার মানুষ মারা গেছেন।
তার ভাষায়, দেশে বর্তমানে দু’টি পৃথক মহামারি চলছে। যার একটি ভাইরাসের অতিসংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমে এবং অন্যটি করোনার ডেল্টা ধরনের মাধ্যমে।
তিনি বলছেন, ‘আমাদেরকে বাস্তবিক হতে হবে, আর এতেই আমি ভীত। সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে এভাবে বাড়তেই থাকলে পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে সংক্রমণের রেকর্ড বহুবারই ভাঙবে।’
এর আগে গত সোমবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, ‘আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্যে করোনা রোগীদের ৪০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত। অভূতপূর্ব গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাসটি। প্রতিদিনই এতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ-তিনগুণ হারে বাড়ছে। এতো ব্যাপক সংক্রামক ভাইরাস এর আগে আমরা দেখিনি।’
তিনি আরও জানান, ‘ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের হার এবং দেশের বর্তমান করোনা চিত্র বলছে, সামনেই একটি করোনা ঢেউ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য এবং খুব দ্রুতই, আবারও আমাদেরকে ‘ভ্যাকসিন বনাম ভাইরাস’ রেসে নামতে হবে।’
সান নিউজ/এনকে