আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করা কঠিন হতে পারে বলে মনে করছেন দেশটির বিমানসেনা বিশেষজ্ঞেরা। এই দুর্ঘটনায় দেশটির প্রথম প্রতিরক্ষাপ্রধান বিপিন রাওয়াতসহ ১৩ জন মারা গেছেন। বেঁচে আছেন কেবল একজন যাত্রী। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) তামিলনাড়ুতে বিপিন রাওয়াতকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
ভারতের বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, সুলুর বিমানসেনা ঘাঁটি থেকে কুনুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজের মধ্যে প্রায়ই চপার চলাফেরা করে। তার মধ্যে ভিআইপি চপারও থাকে। ওই এলাকায় নীলগিরি পর্বতের উচ্চতাও বেশি নয়। কিন্তু জঙ্গল ও চা-বাগানের মধ্যে পড়ে যাওয়ার পরে যেভাবে এমআই-১৭ভিফাইভ চপারটিতে আগুন ধরেছে, তাতে দুর্ঘটনার আসল কারণ খোঁজা কঠিন হতে পারে।
বিমানসেনার সাবেক প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর কার্তিকেয় কালের মতে, কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ার পরে জঙ্গল, চা বাগান ও পাহাড়ের খাদের মধ্যে পাইলট চপার নামানোর কোনো উপযুক্ত সমতল জায়গা পাননি বলেই চপারটি ভেঙে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে।
বিমানসেনা বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মাটিতে পড়ার আগে চপারটি গাছেও ধাক্কা খেয়েছে। এর ফলে সেটি সজোরে মাটিতে ধাক্কা খায়।
সাবেক বিমানসেনা কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাস্থলের ছবি-ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, জ্বালানির ট্যাঙ্কার ভেঙে তেল বেরিয়ে আসায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চপারের মূল পাখার দিকের রোটাহেড ও লেজের দিকের টেলবুমের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে। টেলবুমে চপারের নম্বরটিও (জেডপি ৫১৬৪) দেখা গেছে।
সাননিউজ/এমআর