আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন ইস্যুতে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
টানা দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে রাশিয়াকে সতর্ক বার্তা দিয়ে বাইডেন বলেছেন, মস্কো যদি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় তাহলে এর কঠোর জবাব দেবে ওয়াশিংটন। খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনের চারপাশে রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ওই অঞ্চলে রাশিয়া তাদের সেনা কার্যক্রম বাড়ালে এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিকসহ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে কঠোর জবাব দেবে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একই ইস্যুতে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সবাই ইউক্রেনকে সাহায্য করা এবং রাশিয়াকে কঠোর জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এ বিষয়ে মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেন,ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুতিন কী পদক্ষেপ নেবেন, সে বিষয়ে এখনো জানে না যুক্তরাষ্ট্র। তাই আগেই নিজেদের অবস্থান রাশিয়াকে জানিয়ে দিয়েছেন বাইডেন। যদি ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মিত্ররা মিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করবে না। বৈঠকের একপর্যায়ে পূর্ব ইউরোপে সামরিক জোট ন্যাটোর বিস্তার না করা এবং রাশিয়ার আশেপাশে বিধ্বংসী অস্ত্রের মোতায়েন না করা বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দাবি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
সাননিউজ/এএএ