ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটের কারণে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো থেকে বিনিয়োগের ৮০০ কোটি ডলার তুলে নেবে সৌদি সার্বভৌম তহবিল। মূলত ব্যয় সংকোচনের পদক্ষেপ হিসেবে এই অর্থ তুলে নেওয়া হবে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সৌদি আরবের সার্বভৌম তহবিলের বেশির ভাগ বিনিয়োগই করা হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বে। সৌদির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ রয়েছে বোয়িং, ফেসবুকের মতো বড় বড় কোম্পানিতে।
তবে এখন জোড়া সংকটে পড়েছে সৌদি আরবের অর্থনীতি। করোনা মহামারির পাশাপাশি রয়েছে তেলের দামের ধস। এ পরিস্থিতিতে মূল্য সংযোজন কর দ্বিগুণ করেছে সৌদি সরকার। একই সঙ্গে বেসামরিক কর্মচারীদের মাসিক ভাতা স্থগিত করা হয়েছে। ব্যয়বহুল ঘাটতি কাটাতে ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি সরকার। অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে নতুন অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে।
সৌদি আয়ের ৯০ শতাংশ আসে তেল বিক্রি থেকে। কয়েক দশক ধরে রাজ্য তার তেলসম্পদ নাগরিকদের জন্য উদার ভর্তুকি, চাকরি ও করমুক্ত জীবনযাত্রার জন্য ব্যবহার করেছে। এখন অর্থনৈতিক চাপের মুখে সৌদি আরবে সরকারি কাজে মোটা অঙ্কের বেতন ও দরাজ হাতে দেওয়া সুযোগ-সুবিধা সংকুচিত করে আনা হচ্ছে। এখন এই সংকটের মধ্যে বিদেশে বিশাল বিনিয়োগ সরকারের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের আওতায় (পিআইএফ) বোয়িং, ওয়াল্ট ডিজনি ও স্টারবাকস থেকে শুরু করে ম্যারিয়ট ও সিটি গ্রুপে ৭৭০ কোটি ডলারের শেয়ার কেনে সৌদি। তেল ক্ষেত্রের নামকরা প্রতিষ্ঠান বিপি, টোটাল ও রয়্যাল ডাচ শেলেও রয়েছে তাদের শেয়ার। ইংলিশ ফুটবল ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মালিকানা কেনার চেষ্টা করেছিলেন। তবে পরে সেই চুক্তি কিছুটা জটিল অবস্থায় পড়ে। মাত্র দুই বছর আগে প্রথম ভ্যাট চালু করে সৌদি আরব। করোনাভাইরাসের কারণে এই ভ্যাট তিন গুণ বাড়িয়েছে তারা। আগামী ১ জুলাই থেকে বর্তমানের ৫ শতাংশ ভ্যাট বেড়ে হবে ১৫ শতাংশ। একই সঙ্গে ১ জুন থেকে নাগরিকদের জীবনযাপন ব্যয়–ভাতা প্রদানও বাতিল করবে দেশটির সরকার।
সান নিউজ/ আরএইচ