আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গ্রুপ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের সরকার। জানিয়েছেন, সামনের সপ্তাহে বিষয়টি সংসদে তোলা হবে।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেলের বরাতে এ খবর জানিয়েছে স্থানীয় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
এক বিবৃতিতে প্রীতি প্যাটেল বলেন, মারাত্মক সন্ত্রাসী তৎপরতার সক্ষমতা আছে হামাসের। এছাড়া ব্যাপক ও অত্যাধুনিক অস্ত্রাগার ছাড়াও সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ স্থাপনা আছে গোষ্ঠীটির।
‘আর এ কারণেই হামাসকে আজ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে পদক্ষেপ নিয়েছি,’ বললেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী আইনের অধীন সংগঠনটি নিষিদ্ধ করা হবে। এতে কেউ হামাসকে সমর্থন কিংবা তাদের পতাকা ওড়ালে আইন ভঙ্গ করা হবে। সংগঠনটির সঙ্গে যে কোনো বৈঠকও নিষিদ্ধ বলে গণ্য হবে।
এর আগে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হামাসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ব্রিটেন ওই দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হবে। দেশটিতে ২০০১ সালের মার্চ থেকে হামাসের সামরিক শাখা ‘ইজ আল-দিন আল-কাসাম ব্রিগেড’ নিষিদ্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে, হামাস নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
এক টুইটারপোস্টে তিনি বলেন, হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের রাজনৈতিক শাখার সামরিক তৎপরতার সক্ষমতা রয়েছে।
তবে, গাজা থেকে হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বলা পর্যন্ত তারা এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে না।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা। ইসরাইলের অস্তিত্ব এবং শান্তি আলোচনার ঘোর বিরোধিতা করে আসছে এই দলটি। বরং এর পরিবর্তে দলটি ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ লড়াইয়ের জন্য সোচ্চার। ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সর্বসম্প্রতি বড় ধরনের সহিংসতা হয়েছে চলতি বছরের মে মাসে। সে সময় গাজায় ১১ দিনের লড়াই-সংঘাতে ফিলিস্তিনের হিসাব মতে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারা যায় ৬৬ শিশুসহ ২৫০ জন। আর ইসরাইলের হিসাবমতে, ফিলিস্তিনের রকেট হামলায় দুই শিশুসহ ১৩ ইসরাইলির মৃত্যু হয়।
সান নিউজ/এনএএম