ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
এ যেন কোন কবির বর্ণনা করা মর্মান্তিক এক দৃশ্য। এখানে-ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৮০টি গরুর মরদেহ ছিঁড়ে খাচ্ছে কুকুর।
ভারতে আইন করে গরু রক্ষার কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। তবে ছবি বলছে রক্ষা তো দূরের কথা, গবাদি পশুগুলোকে মরতে হয়েছে ক্ষুধার জ্বালায়। কেরালায় হাতি মৃত্যু নিয়ে ভারতজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই হারিয়ানাতে ঘটলো এমন মর্মান্তিক ঘটনা।
লকডাউনের মধ্যে হরিয়ানার সামালখা চুলাকানা অঞ্চলের শ্রীকৃষ্ণ গোশালায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। গোশালায় খাবার জোগানের ঘাটতি হওয়ায় অনাহারে মারা গেছে গরুগুলো।
মালিকপক্ষের দাবি, তাদের বহু গরু রয়েছে। লকডাউনের মধ্যে সব গরুর যত্ন নিতে পারেননি তারা। এই অবস্থায় সরকারের সাহায্য চেয়েও কোনও সদুত্তর মেলেনি।
এখানেই শেষ নয়। মৃত গরুগুলোর সৎকারের জন্যও কোনও জায়গা পাচ্ছেন না তারা। গোশালার ভেতরেই পচছে মৃতদেহ।
প্রায় সাড়ে তিন একর জমির ওপর তৈরি শ্রীকৃষ্ণ গোশালা। এক হাজার ১০০ গরু থাকতে পারে এই গোশালায়। কিন্তু রয়েছে এক হাজার ৮৫০টি গরু। গোশালার পক্ষ থেকে মনজের কুলদীপ বলেন, ক্ষুধার জ্বালায় মরেছে গরুগুলো। আরও বহু গরু মরণাপন্ন। শরীর এত দুর্বল যে খাবার দিলেও খেতে চাইছে না।
উল্লেখ্য, ভারতে গত কয়েক বছর ধরে নির্বাচনের ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে গোরক্ষা। কিন্তু লকডাউনে সেই গরুর মৃত্যুতে প্রশাসন নীরব।
তবে গণমাধ্যমে গোশালার ছবি শেয়ার হওয়ার পর থেকে প্রাণসুরক্ষাবাদীদের অনেকে সরব হয়েছেন। মর্মান্তিক সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গোশালায় মরে পড়ে আছে গরু। আর গরুর মৃতদেহ থেকে মাংস খুবলে খাচ্ছে কুকুর, কাক।
পশুপ্রেমীদের একাংশ বলছে, দেশের রাজনীতিতে গরু এখন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। গরুর জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে অনেক মানুষকেও। আর সেই গরুর এমন পরিণতি হচ্ছে এদেশে! এমন দ্বিচারিতা তো মেনে নেওয়া যায় না।