আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ত্রিপুরার মুসলিমদের বাড়িঘর ও মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কাটেনি উত্তেজনা। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে প্রায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত বাধছে। এ নিয়ে ত্রিপুরার রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে সরকার।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে দেখে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রটেকশন অব সিভিল রাইটসের (এপিসিআর) সদস্য নুরুল ইসলাম বড়ভূঁইয়া।
নুরুল ইসলাম জানান, সকল তথ্য সংগ্রহ শেষে আমরা এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারবো। তবে এতটুক বলতে পারবো, ৩ টি মসজিদে আগুন লাগানো হয়েছে এবং দশটি মসজিদ হামলার স্বীকার হয়েছে।
এদিকে ত্রিপুরা পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইনশৃঙ্খলা) সৌরভ ত্রিবেদী জানিয়েছিলেন, পানিসাগর শহরের মসজিদে অগ্নিসংযোগের সংবাদটি গুজব। কিছু দুষ্কৃতকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রকাশ করছে। এসময় যে ভিডিও ও ছবি প্রকাশ হয়েছে তার সাথে পানিসাগরের কোন মিল নেই। তাই বলা যায় মসজিদে আগুন লাগানো হয়নি।
পানিসাগরের ঘটনাটি গুজব বলে মন্তব্য করে এক স্কুল শিক্ষক বলেন, পানিসাগরের ঘটনাটি নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এটা যেমন ঠিক, তেমনি এটাও ঠিক যে বেশ কিছু মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে কোনো খবর প্রকাশ করা হচ্ছে না।
ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানান, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে সব দলই ভয় পাচ্ছে। কেননা দশ শতাংশের নিচে ত্রিপুরায় মুসলমান জনসংখ্যা বা ভোট। এতে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট হিন্দুদের বিপক্ষে চলে যাবে। তাই তারা প্রতিবাদ না করে চুপ করে রয়েছে।
হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মনে করছেন ত্রিপুরা কংগ্রেসের সভাপতি বদরুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রায় ৩০০ মানুষ বাড়ি-ঘর হারিয়ে কৈলাসহরের উত্তর অংশে আশ্রয় নিয়েছে।
সান নিউজ/এমএইচ