ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক :
গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের বিদেশি শাখা কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন সেনারা। গোয়েন্দা সংস্থা ও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার নেপথ্য ব্যক্তি হিসেবে কাসেম সোলাইমানি ছিল। তবে নিজ দেশ ইরানে তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে।
ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাকে সোলাইমানির সন্ধান দেওয়ার অভিযোগে মাহমুদ মৌসাভি মাজদ নামের এক ইরানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ইরান সরকার। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার দেশটির বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেন ইসমাইলি জানিয়েছেন, সিআইএ ও মোসাদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করা মাহমুদ মৌসাভি মাজদ নামের ওই নাগরিককে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। এবং এ রায় শিগগিরই কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে ইরান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইরানের দাবি, কাসেম সোলাইমানির অবস্থানের তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পৌঁছে দেয় মাহমুদ মৌসাভি মাজদ। তবে তাকে কীভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে কিংবা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ কীভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ইরানের বিচার বিভাগ। তবে গত গ্রীষ্মে সিআইএ’র হয়ে কাজ করার অভিযোগে ১৭ জনকে আটকের কথা জানায় ইরান। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের বিরোধ চরমে ওঠে। হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকে মার্কিন সেনা অবস্থানে হামলা চালায় ইরান। ইরান হামলার দায় স্বীকার করলেও, কোন দেশই হতাহতের খবর প্রকাশ করেনি। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় মার্কিন বিমান ভেবে ভুলক্রমে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান তেহরানের কাছে ভূপাতিত করে ইরানি বাহিনী। বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হয়।
সান নিউজ/ বি.এম.