ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
তুরস্কে ২০১৬ সালের একটি ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও ২৭৫ জনকে আটকের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। যাদের অধিকাংশই সামরিক বাহিনীর সদস্য।
মঙ্গলবার (৯ জুন) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্দেশনার পর তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির শহরে অভিযান চালায় পুলিশ। একইসঙ্গে ২২টি প্রদেশে অভিযান চালিয়ে ১৪৫ জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়।
এছাড়া, বিমান বাহিনীর ৩২ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে ২৫ জনকে পৃথক এক অভিযানের মাধ্যমে আটক করেছে পুলিশ। আঙ্কারার দাবি, নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতেই তাদের আটক করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, পে-ফোনের মাধ্যমে গুলেনের অনুসারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এসব সন্দেহভাজন। সামরিক স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রেও তারা বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকতে পারেন।
পৃথক এক অভিযানে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিয়ারবাকির শহর থেকে ১৬ জন সেনা কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে ৬ জনকে কারাগারে পাঠান স্থানীয় আদালত। আর বাকি ১০ জনকে মুক্ত করে দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ফেতুল্লাহ গুলেনের অনুসারীরা একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করেন। সেসময় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন গুলেন।
উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সাবেক এ মিত্র ১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন।