আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পিয়ংইয়ং বিরোধী লিফলেট ছড়ানোর কারণে দু’দেশের মধ্যে সব ধরনের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
এমনকি দুই দেশের নেতাদের যোগাযোগের হটলাইনও বন্ধ করে দেয়া হবে।
সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৯ জুন) বিকেল থেকে পিয়ংইয়ং উত্তর-দক্ষিণের লিয়াজোঁ অফিসের মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের যে যোগাযোগ হতো তা বন্ধ করে দেবে এবং একেবারেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করবে।
এদিকে, মঙ্গলবারের এ ঘোষণায় তাৎক্ষণিক ভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি সিউল। তবে তারা নিশ্চিত করেছে, তাদের সঙ্গে ফোনালাপ বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
সোমবার (৮ জুন) সকালে তারা কোনো ফোন পায়নি, যদিও বিকেলে কথা হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সকালে উত্তর কোরিয়ার হটলাইনে ফোন করেও সাড়া পায়নি দক্ষিণ কোরিয়া।
কেসিএনএর প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়া বলে, 'আমরা এ উপসংহারে পৌঁছেছি যে, দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুখোমুখি বসার কোনো প্রয়োজন নেই এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করারও কিছু নেই। কেননা তারা কেবল আমাদের ক্ষোভ জাগায়।'
এর আগে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং হুমকি দিয়ে জানান, 'দক্ষিণ থেকে উত্তরে দেশদ্রোহীদের লিফলেট পাঠানো বন্ধ না হলে, লিয়াজোঁ অফিস বন্ধ করে দেয়া হবে।'
২০১৮ সালের পানমুনজম সম্মেলনে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের সঙ্গে কিম জং উনের যে শান্তিচুক্তি হয়েছিল, লিফলেট ক্যাম্পেইনের কারণে সেটি ভঙ্গ হয়েছে বলে জানান তিনি।
উত্তর কোরিয়ার দেশদ্রোহীরা প্রায়ই দক্ষিণ থেকে বেলুনের মাধ্যমে উত্তরের বিভিন্ন অঞ্চলে লিফলেট বা বার্তা পাঠিয়ে থাকে। উত্তরের বাসিন্দারা শুধু রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার মাধ্যমে সংবাদ জানতে পারে এবং তাদের অধিকাংশের কাছেই ইন্টারনেট নেই।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, শুধু সীমান্তের ওপারে লিফলেট পাঠানো সংক্রান্ত বিষয়ে দক্ষিণের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া সব যোগাযোগ ছিন্ন করেছে, এমন নাও হতে পারে।
এ পদক্ষেপ উত্তরের বড় ধরনের কোনো পরিকল্পনার অংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সান নিউজ/সালি