আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দশ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর মধ্য দিয়ে তুরস্কের সঙ্গে পশ্চিমা মিত্রদের একটি পূর্ণমাত্রার কূটনৈতিক সংকট আপাতত শান্ত হলো।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলা হয়, কারাবন্দী এক নেতার মুক্তি দাবি করায় স্থানীয় সময় গত শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি এই ১০ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে সোমবার দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার কূটনৈতিক আচার–নিয়ম মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা (রাষ্ট্রদূতেরা) তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে আরও সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব শেষে এরদোয়ান টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বক্তৃতায় বলেন, সংকট সৃষ্টি করা কখনোই আমাদের লক্ষ্য নয়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অধিকার, আইন, সুনাম ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।
এরদোয়ান বলেন, আজ (সোমবার) একই দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে নতুন একটি বিবৃতিতে আমাদের দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে এমন অপবাদ দেওয়া থেকে এক ধাপ পিছিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এ রাষ্ট্রদূতেরা তুরস্কের সার্বভৌম অধিকার সম্পর্কে তাঁদের বিবৃতির ব্যাপারে আরও সতর্ক হবেন।
প্রসঙ্গত, ১৮ অক্টোবর যৌথ বিবৃতিতে সুশীল সমাজের কারাবন্দী নেতা ওসমান কাভালার মুক্তি নিশ্চিত করতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানান আঙ্কারায় নিযুক্ত ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত। বিক্ষোভে অর্থায়ন ও একটি অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার বছর আগে আটক হন কাভালা। তিনি অবশ্য তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রাষ্ট্রদূতদের এমন বিবৃতির পর তাৎক্ষণিক ক্ষোভ প্রকাশ করে এরদোয়ান বলেন, এসব রাষ্ট্রদূতকে তুরস্কে জায়গা দেওয়া উচিত নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে তুরস্কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার নির্দেশ দেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ