আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ব্রিটিশ সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের (এমআই-সিক্স) সাবেক প্রধান স্যার রিচার্ড ডিয়ারলাভ বলেছেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ নতুন বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন অনুসারে করোনাভাইরাস প্রাকৃতিক নয়, একটি দুর্ঘটনায় তা ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন তিনি।
স্যার রিচার্ড ডিয়ারলাভ বলেন, আমি মনে করি এটি (মহামারি) একটি দুর্ঘটনায় শুরু হয়েছে। এতে প্রশ্ন জাগছে চীন যদি কখনও দায় স্বীকার করে তাহলে কি তারা আক্রান্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেবে? আমার মনে হয় এর ফলে বিশ্বের সব দেশ চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কেমন হবে তা পুনর্বিবেচনা করবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও চীনা নেতৃত্বের প্রতি তাদের আচরণ বিবেচনা করবে।
স্যার রিচার্ড যে গবেষণাকে উদ্ধৃত করেছেন তা সম্পন্ন করেছেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের সেন্ট জর্জ হাসপাতালের অধ্যাপক আঙ্গাস ডালগ্লেইশ ও নরওয়ের ভাইরোলজিস্ট বিরগার সোরেনসেন। প্রতিবেদনে তারা দাবি করেছেন, সার্স-কভ-২ ভাইরাসে স্পাইক প্রোটিন কৃত্রিমভাবে প্রবেশ করানো অংশ শনাক্ত করেছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আগে আমরা যেসব সার্স ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছি সেগুলোর চেয়ে সার্স-কোভ-২ এর স্পাইকে তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে।
স্যার রিচার্ড এই গবেষণাকে মহামারির উৎস ও কীভাবে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে যে বিতর্ক চলছে সেটির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি এই গবেষণা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্বাস করি এতে বিতর্ক নতুন মোড় নেবে।
গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছে, চীনের উহানের একটি ভাইরোলজি গবেষণাগার থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে আখ্যায়িত করেছে। তাদের দাবি, সার্স-কোভ-২ এর মতো কোনও ভাইরাস নিয়ে কখনও গবেষণা হয়নি ওই গবেষণাগারে।
সাবেক এমআই-সিক্স প্রধান মনে করেন, বায়োসিকিউরিটি ব্যর্থতার কারণে ব্যাট করোনাভাইরাসের সঙ্গে করোনা ছড়িয়ে পড়ে থাকতে পারে। চীন ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন না তিনি। তবে করোনার বিস্তারের তথ্য গোপন রাখার জন্য বেইজিংকে অভিযুক্ত করেছেন ১৯৯৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত এমআই-সিক্স প্রধানের দায়িত্ব পালন করা স্যার রিচার্ড।