আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আচমকা ঘুম ভেঙে দেখলেন বিছানায় একখণ্ড পাথর। তা-ও ঘরের ছাদ ভেঙে পড়েছে। কানাডীয় ওই নারী অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। তবে চোখে–মুখে ছড়িয়ে পড়ে কঙ্কর, আবর্জনা এবং আতঙ্ক। গেলো সপ্তাহের ঘটনা।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ডাকেন। প্রথমে ভাবা হয়, নিশ্চয় কাছের নির্মাণাধীন ভবন থেকে মুঠো আকারের পাথরটি বিছানা পর্যন্ত পৌঁছেছে। তবে নির্মাণ শ্রমিকেরা বলছেন, ঠিক ওই সময়ে ভবন ভাঙার জন্য কোনো বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। বরং আকাশে বিস্ফোরণ দেখেছেন তাঁরা। এরপর সবাই বুঝতে পারেন পাথরটি আসলে উল্কাপিণ্ড।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডীয় ওই নারীর নাম রুথ হ্যামিলটন। থাকেন গোল্ডেন নামের ছোট এক শহরে। সেটি ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার রকি মাউন্টেনের কাছাকাছি। ৩ অক্টোবর তিনি দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েন। তবে পোষা কুকুর ডাকতে শুরু করলে আচমকা ঘুম ভেঙে দেখেন এই অবস্থা।
হ্যামিলটন বলেন, জীবনে আমি কখনো এতটা ভয় পাইনি। বুঝতে পারছিলাম না কী করতে হবে, তাই জরুরি সেবার নম্বর ৯১১-এ কল করি। টেলিফোন অপারেটরের সঙ্গে কথা বলার সময় বালিশ সরিয়ে দেখি দুই বালিশের মাঝে একখণ্ড পাথর।
পরে জানা যায়, কানাডার দক্ষিণাঞ্চলের আকাশে সেই রাতে উল্কাবৃষ্টি হয়। নিজের কোনো ক্ষতি হয়নি এতেই সন্তুষ্ট হ্যামিলটন। পাথরখণ্ডটি তিনি সংরক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম, কয়েক ঘণ্টা বসেছিলাম, হাত-পা কাঁপছিলো। অমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা খুব কম। বেঁচে আছি ভেবেই আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
সান নিউজ/এফএআর